'সাঁই'বাড়ি ছিনিয়ে নিল বিজেপি! ২ প্রাক্তন বিধায়ককে দলে নিয়ে তৃণমূলের পা কাঁপানোর বার্তা দিলীপের
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে দলের শক্তি বাড়াল বিজেপি (bjp)। দিলীপ ঘোষের (dilip ghoah)উপস্থিতিতে দুইবঙ্গের দুই প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকাও বিজেপিকে য
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে দলের শক্তি বাড়াল বিজেপি (bjp)। দিলীপ ঘোষের (dilip ghoah)উপস্থিতিতে দুইবঙ্গের দুই প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকাও বিজেপিকে যোগ দিয়েছেন। দিলীপ ঘোষের দাবি, যে দুই এলাকার দুই প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাতে তৃণমূলের পা কেঁপে যাবে।
শুক্রবারের পর শনিবারও বাড়ল সোনার দাম! ১০ অক্টোবর কলকাতায় সোনা ও রুপোর দর একনজরে
সিপিএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপিতে
রামনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক স্বদেশরঞ্জন নায়েক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এলাকায় সিপিএম-এর হয়ে পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্য থাকা বেশ কয়েকজন নেতাও। স্বদেশ নায়েকের বাড়ি শঙ্করপুরে। এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তাঁর। ২০০৬-এ তৃণমূলের সমরেশ দাশকে হারিয়ে তিনি রামনগরের বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১১ সালে তৃণমূলের অখিল গিরির কাছে হেরে যান তিনি।
যদিও সিপিএম সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সিপিএম-এর পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি এবং দলের সম্পাদক মণ্ডলীর তরফে পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বে থাকা রবীন দেবের। যার জেরেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেন বলে প্রাক্তন বিধায়কের সূত্রে খবর।
প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের যোগদান বিজেপিতে
মালদহের গাজলের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন সুশীল চন্দ্র রায়। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল লোভ দেখিয়ে সুশীল রায়কে তৃণমূল ভাঙিয়ে নিয়েছে। গাজল বিধানসভা কেন্দ্রটি মালদহ উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে হবিবপুর কেন্দ্রের তৎকালীন সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু বিজেপিতে যোগ দেন। অনেকেই বলছেন এই দলবদলের পিছনে মুকুল ঘনিষ্ঠ বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর হাত রয়েছে।
অপর দিকে কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে ২০১৬-তে গাজোলে জিতেছিলেন সিপিএম-এর দীপালি বিশ্বাস। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ওই আসনে নির্বাচনী লড়াইতে সুশীল রায়ের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে অঙ্ক কষেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন।
যাদবপুরের অধ্যাপিকার যোগদান বিজেপিতে
এছাড়াও যাদবপুরের সোসিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রুবি সাঁই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। উল্লেখ করা প্রয়োজন রুবি সাঁই বর্ধমানের বিখ্যাত সাঁই বাড়ির সদস্য। অর্ধশতাব্দী পার হয়ে গেলেও বর্ধমানের রাজনীতিতে এখনও প্রাসঙ্গিত সাঁইবাড়ি। সেক্ষেত্রে শাসকদল তৃণমূলকে বিজেপি টেক্কা দিল বলেই মনে করছেন অনেকে।
দলবদলে পিছিয়ে পড়ছে তৃণমূল
উত্তরে কোচবিহার হোক কিংবা দক্ষিণবঙ্গে বাঁকুড়া তৃণমূলও বিজেপি নেতা-কর্মীদের দলবদলে সামিল করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নামীদাবি লোকজন কিংবা প্রাক্তন বিধায়কদের বেশি সংখ্যায় নিজেদের দিকে সামিল করতে পেরেছে বিজেপি। ফলে ২০২১-এর লক্ষে দলবদলে তারা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।