মদ্যপ ভাইকে চরম ‘শাস্তি’ দশমীর রাতে, বর্ধমানের গ্রামে নারকীয় নির্মমতার নজির
মদ্যপ ভাইকে শাস্তি দিতে গিয়ে নৃশংসতার চরম মাত্রায় পৌঁছল দাদারা। অত্যাচারে অতীষ্ট দাদারা পিটিয়ে খুন করেই ক্ষান্ত হল না তাদের ভাইকে, দেহ লোপাট করতে আগুনও ধরিয়ে দিল ভাইয়ের শরীরে।
মদ্যপ ভাইকে শাস্তি দিতে গিয়ে নৃশংসতার চরম মাত্রায় পৌঁছল দাদারা। বর্ধমানের কালনায় ঘটে গেল নারকীয় ঘটনা। অত্যাচারে অতীষ্ট দাদারা পিটিয়ে খুন করেই ক্ষান্ত হল না তাদের ভাইকে, দেহ লোপাট করতে আগুনও ধরিয়ে দিল ভাইয়ের শরীরে। ঘটনাস্থলে গিয়ে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। কালনায় কেলেনই গ্রামে এই ঘটনার পর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
প্রতিদিনই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরত ভাই। দাদাদের বারণ শোনেনি। পুজোর ক-দিন আবার নেশার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল সে। সেইসঙ্গে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে গালিগালাজ তো ছিলই। ভাইয়ের এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দুই দাদা তাকে পিটিয়ে খুন করে দুই দাদা।
এরপর ভাইয়ের দেহ লোপাট করতে তারা আগুন ধরিয়ে দেয় শরীরে। এরই মধ্যে এই নৃশংসতার খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে আধপোড়া দেহ। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম বিকাশ সকার। পেশায় দিনমজুর। দশমীর রাতে চরমে ওঠে দাদা-ভাইয়ের ঝগড়া। প্রায় রোজনামচা হয়ে গিয়েছিল এই অশান্তি।
তাই প্রতিবেশীরা প্রথমে ঘটনাটিতে তেমন একটা আমল দেননি। তারপর খানিকক্ষণ পরেই বন্ধ হয়ে যায় ঝগড়ার আওয়াজ। কিন্তু তারপরই চামড়া পোড়ার গন্ধ পেয়ে ছুটে যান বিকাশের বাড়িতে। তাঁরা গিয়ে দেখেন বিকাশের দেহ পুড়ছে দাউ দাউ আগুনে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে এবং গ্রেফতার করে দুই দাদাকে।