সিপিএম ছেড়ে বিজেপি-তে পুলিনবিহারী, অন্তরা? জল্পনা তুঙ্গে
পুলিনবিহারী বাস্কে মেদিনীপুরের রাজনীতিতে খুবই পরিচিত মুখ। সিপিএমের টিকিটে জিতে ২০০৯ সালে সাংসদও হয়েছিলেন। এ বার লোকসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম এলাকায় তাঁকে সিপিএমের মুখ বলা যেতে পারে। সেই পুলিনবাবুই শনিবার বিজেপি-র জেলা অফিসে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন বলে খবর। তিনি নিজে মুখ না খুললেও তাঁর অনুগামীরা বলছেন, সত্যিই যদি পুলিনবাবু বিজেপি-তে যান, তা হলে ঝাড়গ্রামে সিপিএম আক্ষরিক অর্থেই কবরে যাবে।
পুলিনবাবুর মতো অন্তরা ভট্টাচার্যও বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন বলে খবর। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে তাঁকে ফোন করে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য সুভাষ সরকার অন্তরাদেবীকে 'ভুল পথে' যেতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু তিনি অনড় রয়েছেন। তাঁর অনুগামীরা অবশ্য বিজেপি-তে যেতে এক পায়ে খাড়া। তাঁরা বলেছেন, বিজেপি-তে গিয়ে নতুন করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। কারণ সিপিএমে থেকে দিনের পর দিন পড়ে-পড়ে মার খাচ্ছেন। আর দলের নেতারা নবান্নে গিয়ে ফিশফ্রাই খেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন।
এদিকে, পিংলা ব্লকের কুশুমদা পঞ্চায়েতের দুই নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব গায়েন ও লক্ষ্মী হেমব্রম বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন। আগামীকাল রাহুল সিনহার সামনে তাঁরা বিজেপি-তে যোগ দেবেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সিপিএম কর্মীদের দলে দলে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার ঘটনায় খুবই চিন্তিত তৃণমূল কংগ্রেস। পিংলা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌতম জানা বলেন, "এমন লোকেরা সুবিধাবাদী। এক সময় সিপিএমে থেকে সুবিধা নিয়েছে। এখন সুবিধা নিতে বিজেপি-তে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে মানুষকে বোঝাব।"