একই দিনে বাংলার দুই প্রান্তে খুন দুই জন-প্রতিনিধি! নবান্নে জরুরি বৈঠকে মমতা
গত ২৪ ঘন্টায় দুই কাউন্সিলারের খুন! রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। এই অবস্থায় সরকারের উপর চাপ বাড়াতে মরিয়া বিরোধীরাও। তবে রাজ্যের দুইপ্রান্তে একই দিনে দুই জনপ্রতিনিধি খুনের ঘটনায় নিঃসন্দেহে চাপ ব
গত ২৪ ঘন্টায় দুই কাউন্সিলারের খুন! রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। এই অবস্থায় সরকারের উপর চাপ বাড়াতে মরিয়া বিরোধীরাও। তবে রাজ্যের দুইপ্রান্তে একই দিনে দুই জনপ্রতিনিধি খুনের ঘটনায় নিঃসন্দেহে চাপ বেড়েছে। আর এই পরিস্থিতি জরুরি বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, নবান্নে এই জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে। যেখানে রাজ্য পুলিশের ডিজি, স্বরাষ্ট্রসচিব সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিতি রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে দুই কাউন্সিলার খুনের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। এমনকি এই ঘটনায় পুলিশি তদন্ত কীভাবে এগোচ্ছে সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আনিস মামলার তদন্তের গতি প্রকৃতির বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে যাচ্ছে।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটছে, এর পিছনে কারা? সমস্ত বিষয়ে পুলিশ আধিকারিকদের কাছে জানতে চান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এমনকি কড়া হাতে রঙ না দেখে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ পুলিশ প্রশাসনকে দিয়েছেন বলে নবান্ন সুত্রের খবর। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে নবান্নের তরফে কিছু জানানো হয়নি বলেই খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, রবিবার রাজ্যের দুটি জায়গাতে দুই কাউন্সিলারকে খুনের ঘটনা ঘটে। বলে রাখা প্রয়োজন, পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। সেখানে মোটরবাইকে আসা দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। অনুপম দত্তের মাথায় গুলি লাগে। বাইকের বসে থাকা অনুপম দত্ত পড়ে যান। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
যদিও ইতিমধ্যে ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কেন তাঁকে এভাবে মারা হল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দফায় দফায় মূল অভিযুক্তকে গদফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। রবিবার তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয়স রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কংগ্রেসের দাবি, বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা। পুলিশের একাংশের মদতেই এই ঘটনা বলেও অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।
তবে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। আর এই ইস্যুতে আজ সোমবার দফায় দফায় বিক্ষোভে বিজেপি।