ঘর ভাঙল রাজ্যের প্রভাবশালী সংখ্যালঘু মন্ত্রীর! বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলকে আক্রমণ দুই ভাইয়ের
দীর্ঘদিনের তৃণমূল বিধায়ককে দলে নেওয়ার পর এবার রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা (trinamool congress) তথা সংখ্যালঘু মন্ত্রীর ঘরে ভাঙন ধরাল বিজেপি (bjp)। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রীর দুই ভাই বিজেপিতে যোগ দে
দীর্ঘদিনের তৃণমূল বিধায়ককে দলে নেওয়ার পর এবার রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা (trinamool congress) তথা সংখ্যালঘু মন্ত্রীর ঘরে ভাঙন ধরাল বিজেপি (bjp)। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রীর দুই ভাই বিজেপিতে যোগ দেন এবং গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন।
মমতাকে ভাত দেয়নি কেউ! আলুর দাম বৃদ্ধিতেও রয়েছে কাটমানি, অভিযোগ দিলীপ ঘোষের
মন্ত্রীর দুই ভাইয়ের যোগদান বিজেপিতে
উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের শ্রম দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন গোলাম রব্বানি। তাঁর দুই ভাই গোলাম সারেবর এবং গোলাম হায়দার। এলাকায় তাঁরাও তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাস টার্মিনাস এলাকায় বিজেপির জনসভায় এঁরা ছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়ও উপস্থিত ছিলেন। সেই মঞ্চ থেকে মন্ত্রীর দুই ভাই হাতে বিজেপির পতাকা তুলে নেন।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ
এদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ করেছেন গোলাম রব্বানির ভাই গোলাম সারেবর। গোয়ালপোখরের উন্নয়ন সাধনের জন্য এবং তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, এলাকার খানা, কো-অপারেটিভ ব্যাঙক, বিডিও অফিসে টাকার লেনদেন এবং কাটমানির খেলা চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দিয়ে এসবের শেষ তারা করতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ক্ষতি হবে না তৃণমূলের
যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মন্ত্রীর দুই ভাই তৃণমূলের কেউ নয়। তাঁরা এর আগেই মন্ত্রীর বিরোধিতা করেছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এই দুইজনের বিজেপিতে যোগদানে দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলেও দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
শুভেন্দু অধিকারীই ছিলেন এই জেলার দায়িত্বে
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন তৃণমূলের পর্যবেক্ষক পদ থাকাকালীন দীর্ঘদিন উত্তর দিনাজপুরের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দাড়িভিট নিয়ে যখন জেলা তথা রাজ্যের রাজনীতি উত্তাল, সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীর ওপরে ভর করেই তৃণমূল নেতারা পৌঁছেছিলেন সেখানে। ঘাসফুল শিবির পাল্টা সভা করেছিল। লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে কালিয়াগঞ্জের উপনির্বাচনেও জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১৯-এর নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে রাজনৈতিক অবস্থান
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক সাফল্য পায় বিজেপি। আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সাতটিই দখল করে তারা। উত্তরবঙ্গে থাকা ৫৪ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ছিল ৩৬ টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে ১৪ টিতে, আর তৃণমূল চারটিতে।