কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চাই না, চিঠি লিখে আবেদন, পদ্ম শিবিরের অস্বস্তি বাড়ালেন বাঁকুড়ার দুই বিধায়ক
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চাই না, চিঠি লিখে আবেদন, পদ্ম শিবিরের অস্বস্তি বাড়ালেন বাঁকুড়ার দুই বিধায়ক
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চাইছেন বাঁকুড়ার বিজেপির দুই নেতা। তাঁরা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেবার দাবি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এই নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক বিজেপি নেতা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়তে শুরু করেছেন। তাতে বেশ চাপ বেড়েছিল বঙ্গ বিজেপির। তারপরেই আবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি দুই বিধায়কে নতুন করে জল্পনার পারদ চড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফেরাতে চান দুই বিধায়ক
কেন্দ্রীয় বাহিনী আর নিজেদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার আবেদন জানালেন বাঁকুড়ার দুই বিজেপি বিধায়ক। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখেছেন বাঁকুড়ার ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা ও ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল কুমার ধাড়া। বিধানসভা নির্বাচনের পর বাঁকুড়ার ৮ বিধায়ককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগ দিলে তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বাকি সাত বিজেপি বিধায়কের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এখনও রয়েছে। প্রতি বিধায়কের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন পাঁচজন করে সিআইএসএফ জওয়ান।
নতুন জল্পনা
হঠাৎ করে বাঁকুড়ার দুই বিধায়কে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি নিেয় জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি ফের ভাঙন শুরু হবে বাঁকুড়ার বিজেপি শিবিরে। কারণ ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। হঠাৎ করে আরও ২ বিধায়কের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের আবেদনে নতুন করে জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে মাথাচারা দিয়েছে বিদ্রোহ। একাধিক বিজেপি বিধায়ক দল ছেড়েছেন। দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সুর চড়িয়েছেন। যদিও দুই বিধায়ক জানিয়েছেন তাঁরা ব্যক্তিগত সুবিধার্থেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়তে চাইছেন।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক
বিজেপির অন্দরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হুড়ো হুড়ি পড়ে গিয়েছে। সৌমিত্র খাঁর পথেই পা বাড়িয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। শঙ্কুদেব পণ্ডাও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। তারপরেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শঙ্কু দেব পণ্ডাও কি তাহলে দল ছাড়ছেন। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব এই নিেয় কোনও কথা বলতে চাননি। বাঁকুড়ার বিজেপি শিবিরেও দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
সাগঠনিক সভাপতি বদল নিয়ে অসন্তোষ
বাঁকুড়ার দুই জায়গা বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে সাংগঠনিক পদে রদবদল করা হয়। বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি পদে বিবেকানন্দ পাত্রকে সরিয়ে সুনীল রুদ্র মণ্ডলকে বসানো হয়েছে। বিষ্ণুপুরেও সুজিত অগস্তিকে সরিয়ে বিলেশ্বর সিংহকে সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। তারপরে দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে। এর তীব্র বিরোধিতা করে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে িচঠিও দিয়েছেন বাঁকুড়ার কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। এই নিয়ে নতুন করে বিজেপির অন্দরে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।