একদিনে 'রাজনৈতিক হিংসা'র বলি ২ বিজেপি নেতা! অগ্নিগর্ভ হাওড়ার বাগনান
একদিনে 'রাজনৈতিক হিংসা'র বলি ২ বিজেপি নেতা! অগ্নিগর্ভ হাওড়ার বাগনান
রাজ্যের দুই প্রান্তে একই দিনে বিজেপির ২ নেতা, কর্মীর মৃত্যু। দুজনের ওপরেই অষ্টমীর রাতে হামলা হয়েছিল। তারপর থেকে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার তাঁদের মৃত্যু হয়। এরপরেই উত্তেজনা ছড়ায় বাগনান ও শ্যামনগরে। বিজেপির তরফে দুটি ঘটনাতেই রাজনৈতিক হামলার কথা বললেও, তৃণমূলের তরফে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
বাগনানের নেতার মৃত্যু এনআরএস-এ
অষ্টমীর রাতে হাওড়ার বাগনানে বাড়ির সামনেই বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিঙ্কর মাঝি নামে বাগনান বিজেপির ৫ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতিকে ভর্তি করানো হয় এনআরএস হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বাড়ির কাছে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে গল্প করছিলেন ওই বিজেপি নেতা। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে কিঙ্কর মাঝির ওপরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এরপরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নেতা এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার ওই নেতার মৃত্যু হয়।
শ্যামনগরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু
অষ্টমীর রাতেই উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের কাউগাছিতে বিজেপি কর্মী মিলন হালদারের ওপর হামলা হয়। ক্লাব থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল তাঁকে। ওই বিজেপি কর্মীকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। যদিও বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
অগ্নিগর্ভ বাগনান
এদিকে, বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাঝির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হাওড়ার বাগনান। একাধিক জায়গায় অবরোধ শুরু করে বিজেপি। অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। পুলিশ লাঠি চার্জ করে বিক্ষোভকারী হঠিয়ে দেয়। বিজেপি নেতাকে হত্যার প্রতিবাদ করে বৃহস্পতিবার ১২ ঘন্টার বাগনান বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
দুটি হামলাতেই দলের বিরুদ্ধে তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। দুটি ঘটনাতেই সঠিক তদন্ত দাবি করা হয়েছে শাসকদলের তরফে।
অক্টোবরেই আরও এক বিজেপি নেতার মৃত্যু
অক্টোবরেও হিংসায় মৃত্যু হয়েছে আরও এক বিজেপি নেতার। ১৯ অক্টোবর হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জের বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের মৃত্যু হয় এসএসকেএম-এ। রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা ও হত্যার অভিযোগে সরব বিজেপি। তাদের অভিযোগ, ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ১২০ জনের বেশি বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের মানচিত্র থেকে পিওকে এবং গিলগিট বাদ দিল সৌদি আরব! ইমরানদের কোন ভাষায় কটাক্ষ আয়ুব মির্জার