দুই বাঙালি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদেরই শিকড় বাঁধা কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে
দুই বাঙালি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদেরই শিকড় বাঁধা কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালের দুই প্রাক্তনী নোবেল জিতে শুধু দেশকেই গর্বিত করেননি বিশ্ববিদ্যালয়কেই উচ্চাসনে তলে ধরেছেন বিশ্ব
দুই বাঙালি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদেরই শিকড় বাঁধা কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালের দুই প্রাক্তনী নোবেল জিতে শুধু দেশকেই গর্বিত করেননি বিশ্ববিদ্যালয়কেই উচ্চাসনে তলে ধরেছেন বিশ্ব-মানচিত্রে। সোমবার স্ত্রী এস্থার ডুফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমারকে সঙ্গে নিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ নোবেল পুরস্কার জিতে নেন।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলওয়ে থেকে অর্থনীতির বিশ্বে যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিজিৎ ১৯৮১ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছিলেন। এরপর ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। এরপর ১৯৮৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পিএইচডি করার জন্য অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন।
সেই থেকে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ। বর্তমানে তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ফোর্ড ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের ক্ষেত্রটি হ'ল উন্নয়ন অর্থনীতি। বৈশ্বিক দারিদ্র্য বিমোচনে তাদের পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্থার ডুফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমারকে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করেন।
এর আগে নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত অমর্ত্য সেনও ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। ১৯৯৯ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে নোবেল স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন। অমর্ত্য সেন ১৯৫১ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রিও অর্জন করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রিও নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি ট্রিনিটি কলেজে পিএইচডি করেন।