বর্ষবরণের রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, কালবৈশাখীর দাপটে মন্দিরের চূড়া ভেঙে মৃত্যু
বর্ষবরণের রাতে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাড়ল প্রাণ। চৈত্রসংক্রান্তিতে শ্মশানকালী পুজো চলাকালীন মন্দিরের চূড়া ভেঙে মৃত্যু হল দুজনের। আহত হয়েছেন ১৫ জন।
বর্ষবরণের রাতে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাড়ল প্রাণ। চৈত্রসংক্রান্তিতে শ্মশানকালী পুজো চলাকালীন মন্দিরের চূড়া ভেঙে মৃত্যু হল দুজনের। আহত হয়েছেন ১৫ জন। হাওড়া জেলার জয়পুর থানার কাঁকরোল পূর্ব শ্মশানে এই ঘটনা ঘটে। প্রবল ঝড়ে মন্দিরের চূড়া ভেঙে প্যান্ডেল চাপা পড়ে এই বিপত্তি ঘটে।
চৈত্র সংক্রান্তিতে জয়পুরের এই গ্রামের শ্মশানে কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন কালীপুজোর অনুষ্ঠান চলাকালীন পুণ্যার্থীর ভিড় ছিল মন্দিরে। সেইসময়ই আকাশ কালো করে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ঝড়। সেই প্রবল ঝড়ের মুখে পুণ্যার্থীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন প্যান্ডেলের নিচে।
হঠাৎই কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে কালীমন্দিরের চূড়া হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। প্যান্ডেল চাপা পড়ে যান অনেক পুণ্যার্থী। ভেঙে পড়া মন্দিরের চূড়ার আঘাতে ১৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় অমরাগোড়ি বিভূতিভূষণ ধর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক ১ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহতদের উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে মৃত্যু হয় আরও এক জনের। মৃতের নামে অভিজৎ মাজি (৯) ও নমিতা ধর (২০)।
মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়েই আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র ঘটনাস্থলে যান। দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। মৃত অমরাগড়ী মেনকা স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অভিজিৎ। পরে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে মৃত্যু হয় নমিতা রায় নামে এক তরুণীর। এই ঘটনায় শোকের ছায়া আমরাগোড়ি গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মন্দিরের চূড়ার সঙ্গে বাঁধা ছিল প্যান্ডেলের দড়ি। প্রবল ঝড়ে সেই দড়িতে টান পড়ে প্যান্ডেল ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, মন্দিরের চূড়াও হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায়। তার আঘাতেই প্রাণহানির ঘটনা ও এত সংখ্যক মানুষ আহত হলেন।