যমজ বোনের যমজ নম্বরে হতবাক মালদহের সিঙ্গাতলা এলাকা
যমজ বোনের যমজ নম্বরে হতবাক মালদহের সিঙ্গাতলা এলাকা
দেখতে হুবহু এক। একজনের থেকে অন্য জনকে আলাদাই করতে পারেন না প্রতিবেশী থেকে বন্ধু-বান্ধব কেউই। এবছর মাধ্যমিকে ও দুজন পেয়েছে একই নম্বর। মাধ্যমিকে মালদার সিঙ্গাতলার জমজ দুই বোনের যমজ নম্বর দেখে রীতিমত তাক লেগে গেছে দুজনের পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে স্কুলের বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও।
জানা গিয়েছে, যমজ দুই বোন প্রাপ্তি ঘোষ দস্তিদার এবং প্রাচী ঘোষ দস্তিদার মালদা শহরের মালদা গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। এবছর মাধ্যমিকে দুজনেই ৫৩৮ করে পেয়েছে। যমজ দুই বোনের রেজাল্ট দেখে রীতিমতো হতবাক সকলেই। তবে এটা সম্ভব হল কীভাবে তা কারও জানা নেই। দেখতে এক হতে পারে, স্ব ইচ্ছায় পোশাক হতে পারে, কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার পর শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া সেই নাম্বার কিভাবে মিলে গেল তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে দুই বোনের মধ্যেও। অবশ্য তাদের সাপ কথা, এটা মনের মিল।
এবছর তাঁদের মাধ্যমিকের সিট পড়েছিল মালদা শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার কৃষ্ণমোহন বালিকা বিদ্যালয়ে। তারা দুইজন পৃথক দুটি ঘরে বসেই পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রাপ্তি বাংলায় পেয়েছে ৭৬ ইংরেজিতে ৬১, অংকে ৮১, ভৌতবিজ্ঞানে ৬৫, জীবন বিজ্ঞানে ৯০, ইতিহাসে ৮৩ এবং ভূগোলে ৮২। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৩৮।
অন্যদিকে প্রাচী বাংলায় পেয়েছে ৮২, ইংরেজিতে ৬৮, অংকে ৮৩, ভৌত বিজ্ঞানে ৭২, জীবন বিজ্ঞানে ৮০, ইতিহাসে ৬৬ এবং ভূগোলে ৮৭। কিন্তু পরীক্ষার দুজনেরই প্রাপ্য ৫৩৮ নম্বর। পৃথকভাবে পরীক্ষা দিলেও ফলাফল জমজ। বুঝে নেই ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
তাদের বাবা প্রণব ঘোষ দস্তিদার পেশায় সরকারি কর্মী। বর্তমানে তিনি মালদা মহিলা বিদ্যালয়ের হেড ক্লার্ক পদে কর্মরত। তিনিও বিষয়টিতে হতবাক। জানান, দুই মেয়ের রেজাল্টে আমি খুশি। আবার অবাক হয়ে গিয়েছি। দুজনের নম্বর যেভাবে মিলে যাবে তা কখনো আশা করিনি। ওরা এই ভাবে মিলে মিশে থাকুক সেটাই চান তাদের বাবা প্রণব বাবু।