২১-এর আগে বিজেপির কাছে আরও এক বিধায়ক হারাল তৃণমূল! দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান
২১-এর আগে বিজেপির কাছে আরও এক বিধায়ক হারাল তৃণমূল! দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান
২০২১-এর নির্বাচনের আগে আরও এক বিধায়ককে হারাল তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। এদিন দিল্লিতে বিজেপির (bjp) সদর দফতরে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। গতমাসেও তৃণমূলের এই বিধায়ক বড় করে বঙ্গধ্বনি যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব বলছে আপদ বিদায় হয়েছে।
কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে জিতে তৃণমূলে যোগদান
২০১৬ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামজোটের প্রার্থী হিসেবে শান্তিপুর থেকে লড়াই করেছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। তিনি ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অজয় দেকে তিনি ১৯ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে ছিলেন। এরপর ২০১৭-র ২১ এপ্রিল তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। সেই সময় অরিন্দম ভট্টাচার্য ছিলেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি। তাঁর সঙ্গেই সেদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন রানাঘাট উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শঙ্কর সিং। একদিকে যেমন সেই সময় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৪৪ থেকে কমে ৩৬ হয়েছিল, ঠিক তেমনই নদিয়ায় তৃণমূল বিধায়কের সংখ্যা ১৭-র মধ্যে ১৬ হয়েছিল। তবে অরিন্দম ভট্টাচার্যের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে শান্তিপুরে তৃণমূল শিবির দুভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদিকে অজয় দে, অন্যদিকে অরিন্দম ভট্টাচার্য।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই জল্পনা
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ছে শান্তিপুর বিধানসভা। লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রে ভরাডুবি হয় তৃণমূল কংগ্রেসের। শান্তিপুরের ছটি পঞ্চায়েতের মধ্যে পাঁচটিতে পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল। এলাকায় বিজেপির ভোট বৃদ্ধির পর থেকেই অরিন্দম ভট্টাচার্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা চরমে ওঠে। অন্যদিকে এলাকার বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়। যদিও সেই সময় অরিন্দম ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, তিনি দল পরিবর্তন করছেন না। তার নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
রাজ্যপালের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন
যে জগদীপ ধনখর রাজ্যে রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে ব্যতিব্যস্ত তৃণমূল, ২০১৯-এর নভেম্বরে রাসের অনুষ্ঠানে সেই জগদীপ ধনখড়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। তারপর থেকেই তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনা তীব্র হতে শুরু করে। তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর সিং অরিন্দম ভট্টাচার্যের এই আচরণের নিন্দা করেছিলেন। যদিও এই ঘটনার পরেই অরিন্দম ভট্টাচার্যের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। বোমা পড়েছিল ঘনিষ্ঠ দীপঙ্ক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এই ঘটনার পরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে তিনি শান্তিপুর থানায় ধর্নায় বসেছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অরিন্দম ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে টিকিট বন্টনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।
ডিসেম্বরেও অংশ নিয়েছিলেন বঙ্গধ্বনি যাত্রায়
২০২১-এর জানুয়ারিতে বিজেপিতে যোগ দিলেও, গত ডিসেম্বরের শেষে অরিন্দম ভট্টাচার্য ঘটা করে সরকারের বঙ্গধ্বনি যাত্রায় বঅংশ নিয়েছিলেন। সেই ছবি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে আপলোড করেছিলেন।
শুভেন্দুই প্রার্থী নন্দীগ্রামে! একুশের নির্বাচনে মমতাকে হারানোর ছক তৈরি বিজেপির