লকডাউনের জেরে সীমান্তে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ২ হাজার ট্রাক
ভারত বাংলাদেশের ঘোজাডাঙা সীমান্তে গত ২৬ মার্চ বুধবার লকডাউন যাঁতাকলে সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ২ হাজার ট্রাক। দেশের বিভিন্ন রাজ্য তথা তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে প্রায় ৩০০ ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। বেশকিছু ট্রাকে লঙ্কা, হলুদ, আদা, কাঁচামাল রয়েছে। ইতিমধ্যে পচন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে এদেশে কিছু ট্রাক ঢুকে রয়েছে সেগুলো আর দেশে ফিরতে পারছে না।
যাঁতাকলে দু'দেশের ট্রাকচালক ও খালা ইচ্ছে থাকলেও দেশে ফিরতে পারছে না। আর ভারতীয় ট্রাক চালকরা তাদের নিজের রাজ্যে যেতে পারছে না। সবমিলিয়ে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। সবমিলিয়ে আমদানি রপ্তানি সীমান্তবানিজ্য বুধবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত এই চার দিনে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
পাশাপাশি ২ হাজার ট্রাকের চালক ও খালাসী নিজের রাজ্যে ফিরতে পারছে না। এমনকি এরা জন্য বেশ কিছু ট্রাক খালি অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে সীমান্তে । দুই যাঁতাকলে তারাও ঘরে ফিরতে পারছে না। তার মধ্যে আটকে পড়েছে প্রায় ৪ হাজার চালক ও খালাসী।
সব মিলিয়ে একদিকে যেমন খাদ্যের যোগান ফুরিয়ে আসছে। অন্যদিকে করোনা আতঙ্কে দিন গুনছেন সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকচালক ও খালাসী। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আসা যেসব পণ্যবাহী ট্রাক খালি হয়েছে সেইগুলো এদেশে আটকে পরেছে। সব মিলিয়ে জটিল পরিস্থিতির মুখে সীমান্ত বাণিজ্যের ব্যবসা।
কোনরকম ভাবে খাওয়া-দাওয়া করে দিনগুজরান করছেন। লকডাউন যদি আরো বেশি চলতে থাকে তাহলে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের চালক ও খালাসি। ঘোজাডাঙ্গা আমদানি-রপ্তানি কারক সংস্থার ব্যবসায়ী মিহির ঘোষ বলেন। ব্যাপক ক্ষতির মুখে সীমান্ত-বানিজ্য সেটা যেমন ঠিক কিন্তু অন্যদিকে যেভাবে দেশের করোনা আক্রান্ত লাফিয়ে বাড়ছে সুরক্ষিত থাকা উচিত। সব মিলিয়ে পুরো বিষয়টা আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জানিয়েছি ।যাতে ট্রাকগুলো দ্রুত যেতে পারে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করার কথা আলোচনা হচ্ছে।