তেইশের সেমিফাইনালের ফল রাত পোহালেই, ফারাক গড়ে দেবে বাঙালি-জনজাতি ভোটের অঙ্কই
রাত পোহালেই উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে। ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই উপনির্বাচন সেমিফাইনালের মর্যাদা পাচ্ছে। চতুর্মুখী লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবে কে, তা নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু করে দিয়েছে সব দলই।
রাত পোহালেই উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে। ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই উপনির্বাচন সেমিফাইনালের মর্যাদা পাচ্ছে। চতুর্মুখী লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবে কে, তা নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু করে দিয়েছে সব দলই। সব দলই মনে করছে, বাঙালি ও জনজাতি ভোট ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে প্রার্থীদের। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহারও।
তেইশের ভোটের সেমিফাইনালে প্রা্রথী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিন বরদোয়ালী কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে ফিরে যাওয়া আশিস সাহা। তিনি এই কেন্দ্র থেকে গতবার বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। এবার সেখানেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
আর একটি হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র হল আগরতলা। রাজধানী আগরতলায় এবার কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন। প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। ত্রিপুরায় পরিবর্তনের লড়াইয়ে তাঁর অবদানও কম ছিল না। সেই তিনি বিজেপি ছেড়ে আবার পুরনো ঘরে ফিরে গিয়েছেন। এবং নিজের কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন।
আরও দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে ত্রিপুরায়, যুবরাজনগর ও সুরমায়। বরদোয়ালি ও আগরতলায় যেমন ফ্যাক্টর বাঙালি ভোট, তেমনই যুবরাজনগর ও সুরমায় জনজাতি ভোট একটা ফারাক গড়ে দেবে। এখন দেখরা এই ভোট কাদের পক্ষে যায়। এই চার নির্বাচনের ভোটে ফলাফল ধরেই ২০২৩-এর সমীকরণ তৈরি হবে ত্রিপুরায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ত্রিপুরার উপনির্বাচন কে কটি আসন জিতল, তা দিয়ে কোনও ফারাক হবে না। কে জিতল কীভাবে জিতল, ভোট শতাংশ কত, কে দ্বিতীয় হল, সব কিচউ নিয়েই তৈরি হবে নতুন অঙ্ক। এই নতুন অঙ্ক থেকেই তৈরি হবে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ। কেননা আর মাত্র সাত মাস, তারপরই ভোটের দামামা বেজে যাবে ত্রিপুরায়।
যে চারটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি ছিল বিজেপির দখলে। আগরতলা, বরদোয়ালি ও সুরমায় জিতেছিল বিজেপি। যুবরাজনগর ছিল সিপিএমের দখলে। বিজেপির জেতা তিনটি আসনের মধ্যে দুই বিধায়ক কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। একজন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ফের দল ছেড়েছেন।
এর মধ্যে বিজেপি মানিক সাহাকে ত্রিপুরার কুর্সিতে বসিয়েছে বিপ্লব দেবের পরিবর্তে। এর ফলে বিজেপিতে কোনও প্রভাব পড়ল কি না কিংবা সুদীপ-আশিসদের দলত্যাগে বিজেপির কোনও ক্ষতি হল কি না, সব কিছুরই উত্তর মিলবে রবিবার। রবিবার তাই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহারও অগ্নিপরীক্ষা। কংগ্রেস আবার সরমা আসনটি ছেড়েছে টিপ্রাকে। ফলে জনজাতি ভোট কোনদিকে যায়, সেটাও দেখার।