গাইঘাটায় বই কিনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার দশম শ্রেণীর ছাত্রী
পুলিশের অনুমান ওই তিন যুবকের মধ্যে একজনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর সম্পর্ক ছিল
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এক বান্ধবী জিকো কীর্তনিয়া ও বলরাম মাটা নামে স্থানীয় দুই যুবকের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেয় ওই ছাত্রীর। তাদের সঙ্গেই বই কিনতে যান তিনি। অভিযোগ সেই সময়ই তাল বুঝে ওই ছাত্রীকে মোটরবাইকে তুলে নিয়ে যায় ওই দুই যুবক। একটি স্কুলের পিছনের অংশে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায় তাঁরা। ওই জায়গায় অ্যান্টনি রাজু গোমস নামে তৃতীয় এক যুবকও উপস্থিত ছিল। সেখানেই ওই তিন জন মিলে ছাত্রীর উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ।
ওই ছাত্রীর আরও অভিযোগ,কিছু ছবি তুলে ওই যুবকরা তাঁকে ব্ল্যাকমেলও করছে। ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এর পরই অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃথদের পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বনগাঁ আদালত। রবিবার বিকেলে নির্যাতিতার বাড়ি যান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানিয়েছেন, স্কুলকে নির্যাতিতা ও তার ভাইয়ের ফি মুকুবের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকার নির্যাতিতার বাবার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু।
একইসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন যে হারে রাজ্যে গণধর্যণের সংখ্যা বাড়ছে তা সত্যিই উদ্বেগের।