
সংঘাত বাড়ছে! রাজ্যপাল ধনখড়ের অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে তৃণমূল
রাজভবন-নবান্ন সংঘাত চরমে! সম্প্রতি জৈন হাওয়া কাণ্ড নিয়ে কার্যত সংঘাত তুঙ্গে। যদিও গত ২৪ ঘন্টা আগে বিধানসভাতে ভালো ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। সৌজন্যতা দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কিন্তু কোথাও একটা রাজ্যপালকে নিয়ে কাঁটা ফুটে আছে শাসকদল তৃণমূলের কাছে। আর সেই কাঁটা কার্যত উপরে ফেলতে চায় তৃণমূল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অপসারণের দাবিতে এবার বড়সড় পদক্ষেপের পথে শাসকদল তৃণমূল।

অপসারণের দাবিতে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নতুন নয়। একাধিক ইস্যুতে বারবার সংঘাত ঘটেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রকে। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপালকে সরানোর দাবিতে কেন্দ্রকে একবার নয়, দুবার চিঠি দিয়েছি। এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু চিঠি নয়, রাজ্যপালকে বয়কট করতে বিধানসভায় কোনও প্রস্তাব আনা যায় কিনা তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।

অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে তৃণমূল
একাধিকবার রাজ্যপাল ধনখড়কে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। অশ্লীল ভাষাতে আক্রমণ শানিয়েছেন। এবার খোদ রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকজড়ের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে যেতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদরা। এমনটাই জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন ডেরেক ও ব্রায়েন, সুখেন্দু শেখর রায় সহ একাধিক তৃণমূল সাংসদ। কেন তাঁরা রাজ্যপালের অপসারণ চাইছেন সেই সংক্রান্ত কিছু নথি তাঁরা তুলে দেবেন বলেই খবর।

সাংবিধানিক পদে বসানোর আগে ভাবা দরকার
কালিমালিপ্ত মানুষকে এভাবে একটা গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে বসানোর আগে ভাবা দরকার ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে সঠিক তথ্য নেননি বলেও অভিযোগ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের। গত কয়েকদিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে একটি পাতার অংশ তুলে ধরেন সুখেন্দু শেখর রায়। সেই পাতাটি জৈন হওয়ালা-কাণ্ডের ডায়েরি বলে দাবি করেন তিনি। জৈন ডায়েরির একটি পাতার সর্বশেষ নাম জগদীপ ধনকড়ের। ডায়েরিতে জগদীপ ধনকড়ের পাশে ৫ লেখা আছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন তোলেন যে, ডায়েরিতে থাকা ধনখড়ের নাম আর বাংলার রাজ্যপাল একই ব্যাক্তি? এই বিষয়ে রাজ্যপালকে কার্যত প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন সাংসদ। তাঁর দাবি, প্রমাণ করুন। কে এই ব্যক্তি। নিজেকে নিষ্পাপ শিশু প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন রাজ্যপাল। কিন্তু আসলে তিনি তা নন। তীব্র আক্রমণ।

একাধিক ইস্যুতে সংঘাত!
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একাধিকবার সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আক্রমণ শানিয়েছেন। এই অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীনভাবে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি জিটিএতে অডিট না হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যার পাল্টা রাজ্যপালকে দুর্নীতি পরায়ণ বলে তোপ দেগেছেন মমতাও। এমনকি জৈন হাওয়ালা কাণ্ডে তিনি জড়ত বলেও আক্রমণ মমতার। এই অবস্থায় আরও সংঘাতে চরম।