For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

পুজো নিয়ে তরজায় সুব্রতকে আক্রমণ পার্থ-অরূপ-ববির, ফোড়ন কাটলেন শতাব্দী

কার পুজো আসল পুজো - এই নিয়ে এখন জোর তরজায় তৃণমূলের চারমন্ত্রী। তরজা বেঁধেছে একডালিয়া এভারগ্রিন বনাম নাকতলা উদয়ন- সুরুচি- চেতলা অগ্রনি-র মধ্য়ে।

  • |
Google Oneindia Bengali News

কার পুজো আসল পুজো - এই নিয়ে এখন জোর তরজায় তৃণমূলের চারমন্ত্রী। তরজা বেঁধেছে একডালিয়া এভারগ্রিন বনাম নাকতলা উদয়ন- সুরুচি- চেতলা অগ্রনি-র মধ্য়ে। এই বিতর্কের মাঝে ঢুকে পড়েছেন আরও এক তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ও। বলতে গেলে তিনি রীতমত ফোড়ন দিয়েছেন এই বিতর্কে।

পুজো নিয়ে তরজায় সুব্রতকে আক্রমণ পার্থ-অরূপ-ববির, ফোড়ন কাটলেন শতাব্দী

রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের দাবি, তাঁর পুজো সাবেকি এবং তিনিই সত্যিকারের মাতৃবন্দনা করেন। থিম ভাবনায় যাঁরা পুজোর দিনগুলোকে জমজমাট করছেন, তাঁরা আসলে পুজো নয় উৎসব করছেন। সুব্রতর এমন মন্তব্য শুনে রীতিমত কটাক্ষ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অরূপ বিশ্বাস ফিরহাদ হাকিম। সুব্রতর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে একডালিয়া এভারগ্রিন সাবকি পুজো করে আসছে। থিম পুজোর এই বাজারেও একডালিয়া এভারগ্রিনে যেভাবে দর্শনার্থীর ঢল নামছে, তা প্রমাণ করে মানুষ আসলে পুজোই দেখতে যায়। অন্যদিকে, রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যিনি নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো কমিটির প্রেসিডেন্ট তিনি রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এক টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো কলকাতা বিখ্যাত। এই পুজো দেখতে প্রচুর মানুষের ঢল নামে সত্যি , কিন্তু একডালিয়া এভারগ্রিনের লোকেশনের সুবিধার কথাও বিচার করতে হবে, গড়িয়াহাটের মোড়ে রয়েছে একগুচ্ছ বড় পুজো। যার মধ্যে রয়েছে সিংহি পার্ক, হিন্দুস্তান পার্কের মতো পুজো। এতগুলো বড় পুজো দেখতে এমনিতেই মানুষে ঢল নামে। কিন্তু, নাকতলায় মানুষের ঢল নামে শুধুমাত্র উদয়ন সংঘের পুজো দেখতে। এর আশপাশে কিন্তু আর কোনও বড় পুজো নেই, যার টানে মানুষ এখানে আসবে। এখানের থিমের ভাবনা মানুষকে আকৃষ্ট করে বলেই ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।সুব্রত মুখোপাধ্যায় বাটানগরে গিয়ে সাবেকি পুজো করে দেখান তিনি কত দর্শনার্থী টানতে পারেন।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের থিম পুজোকে আক্রমণ করে করা মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজ্যের যুব কল্যাণ ও ক্রিড়া দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে আলিপুরের সুরুচি সংঘের পুজোকে কলকাতা বিখ্যাত করেছেন। পুজো কমিটির মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সজ্জাতে থাকে থিমের আধিপত্য। অরূপ বিশ্বাসের মতে, সুব্রতদা আসলে মূল্য ধরে পুজো করেন। তিনি আরও জানান, সুব্রতদা ডেকোরেটরের সঙ্গে প্যান্ডেল বানানোর চুক্তি করে অর্থ দেন। প্রতিমা শিল্পীকে বরাত দিয়ে দেন, এখানে কোনও নিজস্ব ভাবনা কাজই করেনা। এটা অনেকটা ক্যাটেরারকে ডেকে অর্থ দিয়ে মেয়ের বিয়ের দায় সারার মতো ব্যাপার। কিন্তু সুরুচি সংঘের পুজো হয় নিজস্ব ভাবনা থেকে। অনেকটা মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে, ক্যাটেরার না ডেকে , নিজেরাই জোগাড় করে তা কার্যে রূপান্তরিত করার মতো। এতে মায়ের প্রতি যে নিজস্ব অনুভূতি ও ভাবনা কাজ করে , তা প্রত্য়ক্ষ করতেই প্রত্যেক বছর পুজোতে দর্শনার্থীরা আলিপুরের সুরুচি সংঘে ভিড় জমান।

রাজ্যের পুর ও নগোরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে
তিনি কোনও মতেই একমত নন। পুজো সবার । হিন্দু ,মুসলিম, শিখ, সাই দুর্গাপুজো সকলের। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ধর্ম নিরপেক্ষাতার সবচেয়ে .বড় প্রতীক। পুজো সাবেকি না সাবেকি নয়, তা বড় নয়, বিষয়টি হল উৎসব। যাকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠে মানুষ। যে উৎসবে একটা বড় ভূমিকা নেয় থিম।

পুজো নিয়ে এই তরজায় ফোঁড়ন কেটেছেন খোদ সাংসদ শতাব্দী রায়। থিম পুজোকে তিনি পুজো বলেই মানতে রাজি নন। উল্টে সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়ের পাশে দাঁড়িয়ে সাবেকি পুজোর ভাবনার পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। তাঁর মতে , ছোটবেলা থেকেই একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো দেখার জন্য তিনি অপেক্ষায় থাকতেন। এখন একডালিয়া এভারগ্রিনের সঙ্গে আত্নিক যোগাযোগ হয়ে গিয়েছে। এই পুজোর যে সাবেকিয়ানা তা রীতিমত মন ছুঁয়ে যায়।

সন্দেহ নেই, সাবেকি বনাম থিম পুজো নিয়ে যে তরজায় মেতে উঠেছেন তৃণমূলের চারমন্ত্রী ও এক সাংসদ , তা রীতিমত নজিরবিহীন। বঙ্গদেশে আসলে এই সব ধর্মীয় আচারবিধি পালনকে জনসংযোগের হাতিয়ার হিসাবে দেখে থাকেন রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা। এই চল আজকের নয়। বাংলা এবং ভারতের রাজনীতির ইতিহাস প্রমাণ বহু রয়েছে । তবে সন্দেহ নেই দুর্গাপুজোকে ঘিরে আজ বঙ্গদেশে যেভাবে রাজনৈতিক নেতারা সক্রিয় ভূমিকা নেন, তার সূচনা হয়েছিল কংগ্রেসীদের হাত ধরেই। যার অন্যতম উদাহরণ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেন,প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সোমেন মিত্রর মতো নেতারা। কংগ্রেসীদের সরিয়ে বামেরাও যখন ক্ষমতায় আসেন, তখনও তাদের বেশ কিছু নেতা মন্ত্রীরা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন পুজো কমিটির হোথা ছিলেন। পাশাপাশি সেই সব পুজো কলকাতার বিখ্যাত পুজোর তালিকাতেও স্থান পেয়েছে। তৃণমূলের আমলেও সেই ট্র্যাডিশন অব্যাহত।তবে, যেভাবে বর্তমান শাসকদলের চারমন্ত্রী , কার পুজো সঠিক সে নিয়ে তরজায় মেতেছেন ,তাতে অবাক পুজো প্রেমীরা।

English summary
Trinamool ministers attacks each other over Durga Puja debate, here is the details
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X