রানিগঞ্জে গোষ্ঠী সংঘর্ষে হাত তৃণমূল নেতার! এফআইআর-এ প্রথম দুই নাম ঘিরে চাঞ্চল্য
রানিগঞ্জে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও অধরা দুই মূল অভিযুক্ত। এই দুজনের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
রানিগঞ্জে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও অধরা দুই মূল অভিযুক্ত। এই দুজনের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে, মিলেছে এই আশ্বাস।
রানিগঞ্জ পুলিশের তরফে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রাথমিক ভাবে ৫১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যার প্রথমেই রয়েছে বিল্লি ওরফে ইন্তেখাপ খানের নাম। সে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় নামটি হল সানি ওরফে শাহিদ শেখ। সে ওই বিল্লির শাগরেদ বলে জানা গিয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট সূত্রে খবর, বিল্লি আর সানিই সেদিনের অশান্তির মূলে। এরাই রামনবমীর মিছিলে প্রথমে হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এখন পর্যন্ত গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরে কুলটি এলাকায় লুকিয়ে ছিল তারা। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের ব্লক কমিটি ছাড়াও ওয়ার্ড কমিটির প্রসিডেন্ট ছিল এই বিল্লি ওরফে ইন্তেখাপ খান। আগেও বিল্লির বিরুদ্ধে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকা দখল বজায় রাখতে বিল্লিকে মেনে নেয় তৃণমূল। এমনকী এই বিল্লি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন কাউন্সিলের অতি ঘনিষ্ঠ ছিল বলেও অভিযোগ। ফলে শাসক ঘনিষ্ঠতার কারণেই বিল্লির বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। বিল্লির মতোই তার প্রধান সহযোগী সানিও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে সোমবার অশান্তি ছড়ায় রানিগঞ্জের রাজারবাঁধ এলাকায়। মিছিল যাওয়ার সময় পাশের একটি বাড়ির ছাদ থেকে ইট ছোড়া হয়। এরপরেই এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ি, বাজার, পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের ওপরও বোমা ছোড়া হয়। গুরুতর আহত হন কমিশনারেটের ডিসি অরিন্দম দত্ত চৌধুরী।