ফের 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব' তৃণমূলে! ভাঙড়ে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে কুপিয়ে খুন
ভাঙড়ে খুন তৃণমূল নেতা মনু প্রামাণিক। পরিবারের অভিযোগ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর পরেই মনুর পিছু ধাওয়া করে অভিযুক্তরা। এরপর একটি ফাঁকা জায়গায় খুন করা হয় মনুকে।
ভাঙড়ে খুন তৃণমূল নেতা মনু প্রামাণিক। পরিবারের অভিযোগ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর পরেই মনুর পিছু ধাওয়া করে অভিযুক্তরা। এরপর একটি ফাঁকা জায়গায় গুলি করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মনু প্রামাণিকের।
ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনের অভিযোগ তৃণমূলে। ঘটনাটি ঘটেছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দায়িত্বে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ে। রবিবার সকাল ১০ টা নাগাদ ভাঙড়ের বকডোবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে বামনঘাটা বাজারের দিকে রওনা হয়েছিলেন তৃণমূলে নেতা মনু প্রামাণিক। বাড়ি থেকে বেরনোর পরেই তার পিছু নেয় আততায়ীরা। কিছু দূর যাওয়ার পরেই মনুকে ধাওয়া করা হয়। একটা ফাঁকা জায়গায় পৌঁছলে মনু প্রামাণিককে প্রথমে গুলি করা হয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মনু প্রামাণিকের। খবর পাওয়ার পরেই মনু প্রামাণিকের দেহ নিয়ে কলকাতার হাসপাতালে যান পরিবারের সদস্য-বন্ধুরা। সেখানে মৃত ঘোষণার পর মৃতদের ময়না তদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মনু প্রামাণিকের পরিবারের অভিযোাগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অমরেশ মণ্ডলের অনুগামী ইন্দ্রজিত মণ্ডল এই খুনের সঙ্গে জড়িতে। খুনের খবর পেয়েই মনু প্রামাণিকের বাড়িতে যান ভাঙড় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। পরিবারের তরফে লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের সন্ধানে এলাকায় চলছে পুলিশি তল্লাশি।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে খুনের ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল, যখন দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতাও অব্যাহতি চেয়েছেন কাজ থেকে। দলের উচ্চ নেতৃত্বের নজরদারির অভাবেই এই খুনের ঘটনা কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।