রাজনাথ-কারাতের 'ভুয়ো' ছবি দেখিয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে বিপাকে তৃণমূল!
কলকাতা, ২৪ এপ্রিল : বাম নেতা প্রকাশ কারাতকে লাড্ডু খাওয়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই ছবিকে হাতিয়ার করে বিজেপি-সিপিএম আঁতাতের অভিযোগ তুলে তীব্র আক্রমণ করতে গিয়ে এখন বিপাকে তৃণমূলই। ছবিটি যে ভুয়ো পরে তা স্বীকার করতে হল তৃণমূলকেই। আর এই নয়া ছবি কাণ্ডে লোক হাসানো ছাড়া আর কোনও ফায়দা তো তুলতেই পারল না তৃণমূল উল্টে এখন নির্বাচনের কয়েক দফা আগে নিজেদের অস্বস্তি তৃণমূল আরও বাড়াল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সাংবাদিক সম্মেলন করে ২ টি ভিডিও ও ৬টি ছবি প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ওব্রায়েন। যার উদ্দেশ্য ছিল মিডিয়ার সামনে বিজেপি-সিপিএম-এর গোপন আঁতাত সামনে নিয়ে আসা। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায় রাজনাথ সিংয়ের হাত থেকে লাড্ডু খাচ্ছেন প্রকাশ কারাত। এই ছবিটিকে নিজের 'ফেভারিট' বলেও সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন ডেরেক। পরে অবশ্য জানা যায় ওই ছবিতে কারচুপি করা হয়েছে।
এই কথাটি স্বীকার করে নেয় তৃণমূলও। টুইট করে দলের তরফে জানানো হয় "২টি ভিডিও এবং ৬টি ছবি আজ আমাদের সাংবাদিক বৈঠকে দেখানো হয়। যে মুহূর্তে আমদের রিসার্চ টিম জানতে পারে একটি ছবি ফটোশপড ছিল, তৎক্ষণাৎ সেটি সরিয়ে দেওয়া হয়।"
২টি ভিডিও এবং ৬টি ছবি আজ আমাদের সাংবাদিক বৈঠকে দেখানো হয় (১/২)
— AITC (@AITCofficial) April 23, 2016
যে মুহূর্তে আমদের রিসার্চ টিম জানতে পারে একটি ছবি ফটোশপড ছিল, তৎক্ষণাৎ সেটি সরিয়ে দেওয়া হয় (২/২)
— AITC (@AITCofficial) April 23, 2016
একসময় এই দলই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-দীনেশ ত্রীবেদী ও মুকুল রায়কে নিয়ে একটি কার্টুন ইমেল করায় অধ্য়াপককে হাজতবাস করিয়েছিল। এথন সেই দলই ভুয়ো ছবি সাংবাদিক বৈঠকে দেখিয়ে বিজেপি-সিপিএম আঁতাতের এত গুরুতর একটি অভিযোগ তুলছে। কিন্তু শুধু ছবি সরিয়ে দিয়েই কি দায় এড়াতে পারে তৃণমূল উঠছে প্রশ্ন।
ছবিটি আসলে নরেন্দ্র মোদীকে রাজনাথ সিংহের লাড্ডু খাওয়ানোর ছবি। সেখানে ফটোশপ করে মোদীর জায়গায় বসানো হয়েছে কারাতের মুখ। কেন ছবিটির সত্যতা যাচাই না করে এই ছবি সাংবাদিক বৈঠকে দেখানো হল দলের তরফে তা নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন বিরোধী দলগুলি।
বিজেপির তরফে জানানো এই বিষয়ে তারা তৃণমূলের বিরদ্ধে অভিযোগ জানাবে। সিপিএম-এর তরফে ডেরেক ওব্রায়েনের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বামেদের তরফে এও জানানো হয়েছে, যে এই ঘটনায় স্বতপ্রণোদিত মামলা করতে হবে পুলিশকে, নয়তো তারা এই বিষয়ে পুলিশে মামলা করবেন।
ভুল ছবির তত্ত্ব সামনে আসতেই তড়িঘড়ি জাল ছবিটি তৃণমূলের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সাফাইও দিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এই ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়নি তৃণমূলের তরফে। হারের ভয়ে দিশেহারা হয়ে এই নিম্নরুচির কাজ করছে তৃণমূল দাবি বিরোধীদের।