আগামী দিনে দিল্লি দখল করবে তৃণমূল, তাই ভয় পাচ্ছে বিজেপি : মমতা
আগামী দিনে দিল্লি দখল করবে তৃণমূল। তাই ভয় পাচ্ছে বিজেপি। সেই কারণেই সিবিআই লেলিয়ে দিয়ে পাল্টা ভয় দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ওসব সিবিআই জুজু দেখিয়ে কোনও লাভ নেই।
ডুয়ার্স, ২৭ এপ্রিল : আগামী দিনে দিল্লি দখল করবে তৃণমূল। তাই ভয় পাচ্ছে বিজেপি। সেই কারণেই সিবিআই লেলিয়ে দিয়ে পাল্টা ভয় দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ওসব সিবিআই জুজু দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। তৃণমূল ওসব ভয় করে না। বিজেপিকে নিশানা করে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, গালি দিলে খালি করে দেব। যো হামসে টকরায়েগা, চুরচুর হো যায়েগা।
বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের বীরপাড়ার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহের নাম না করে আক্রমণ করে বলেন, দিল্লি থেকে উড়ে এসে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। আর বাংলার সিপিএম-কংগ্রেস জুটেছে ওদের সঙ্গে। খালি কুৎসা করছে, মিথ্যে কথা রটাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে। এর জবাব দেবে মানুষ। আর আমাদের সরকার এই কুৎসার জবাব দেবে উন্নয়ন করে।
মমতা এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, বিজেপি ভোটের রাজনীতি করে। আমরা উন্নয়নের রাজনীতি করি। বিজেপি ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতি দেয়। আমরা মিথ্যা কথা বলি না, আমরা কাজ করি। দিল্লি থেকে এসে খালি মিথ্যে কথা বলছে। বড় বড় কথা বলা খুব সহজ। হিম্মত থাকলে কাজ করে দেখান।
এদিন মমতা স্পষ্ট করে দেন, ভেদাভেদের রাজনীতি এখানে চলবে না। বাংলার মাটি মজবুত। রাজ্যকে ভাগ করতে দেব না। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকুন। প্রতিরোধ করে দিন বাংলা ভাগের চক্রান্ত।
মমতা এদিন বলেন, মনে রাখবেন উন্নয়ন ও প্রগতির স্তম্ভ হল বাংলা। বাংলা যা পারে অন্যরা তা পারে না। আপনারা এগোলে তবেই বাংলা এগোবে। তাই এগিয়ে চলুন। এদিন নতুন জেলা হওয়ার পর আলিপুরদুয়ার প্রশাসনের প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্তর্জাতিকমানের বাসস্ট্যান্ড আপনাদের জন্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ঘোষণা করেন, ফালাকাটায় মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল হবে। এই হাসপাতাল আলিপুরদুয়ারকে উপহার। আলিপুরদুয়ারের মানুষকে উদ্দেশ্যে এই হাসপাতাল উৎসর্গ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তফশিলি ভাই-বোনেদের জন্য প্রকল্পের কথাও ঘোষণ করেন এদিন। তিনি বলেন, নতুন করে আদিবাসী দফতর তৈরি করেছি। মমতার বার্তা, মেয়েদের অবহেলা করবেন না, ওরাই বাড়ির লক্ষ্মী। চা বাগানের মজদুর ভাইদের পাশে থাকার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, বাংলা থেকে ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগের সড়ক তৈরি হচ্ছে। এটা ভুটানে ঢোকার দ্বিতীয় প্রবেশদ্বার। উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী। এত উন্নয়ন বাংলায়, আর কী চাই। বিজেপি এসব স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারবে না। বাংলায় এসে দেখে যান উন্নয়ন কাকে বলে।
বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, কই এতসব পেরেছে গুজরাট? বাংলা পেরেছে বলে উন্নয়ন রুখে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাংলাকে টার্গেট করলে পার পাবেন না। ভোটের জন্য খালি চমকের রাজনীতি। ভোট এলেই বড় বড় কথা বলে, তারপর সব চুপ। নোটবন্দি করে কত টাকা উদ্ধার করতে পারলেন? বিদেশ থেকে কত টাকা আনতে পেরেছেন?
বাইরে থেকে লোক এনে রামনবমী হচ্ছে। তারপর সব লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছে। মমতা বলেন, বাংলার সংস্কৃতি দেশের মধ্যে সেরা। মেধায় বাকি দেশের থেকে এগিয়ে বাংলা। এই বাংলা এখন উন্নয়নেও তরতরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাই সহ্য হচ্ছে না বিজেপি-র।
মমতা
বলেন,
যতই
চেষ্টা
করুক,
বাংলার
উন্নয়ন
থামিয়ে
দিতে
পারবে
না
কেন্দ্রের
সরকার।
উন্নয়নের
কাজ
চলছে।
আরও
উন্নয়ন
হবে।
মানুষের
উদ্দেশে
তিনি
বলেন,
আপনারা
শুধু
আমার
উপর
ভরসা
রাখুন।
টি
বোর্ড
কেন
কলকাতা
থেকে
অসমে।
উন্নয়নের
কথা
বলেন,
তো
এর
জবাব
দিন।