এক সময়ের 'লাল দুর্গ' এখন বিরোধী শূন্য! ফল ঘোষণার একমাস আগেই তৃণমূলের বিজয় উৎসব
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার একমাস আগেই সোমবার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে বিজয় উৎসব পালন করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। এই বিধানসভা কেন্দ্রের ৯০-র বেশি শতাংশ আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় এই বিজয় উৎসব।
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার একমাস আগেই সোমবার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে বিজয় উৎসব পালন করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। এই বিধানসভা কেন্দ্রের ৯০-র বেশি শতাংশ আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় এই বিজয় উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের।
শনিবার
পর্যন্ত
সিপিএম
২২৪টি
গ্রাম
পঞ্চায়েত
আসনের
মধ্যে
মাত্র
২৪টিতে
এবং
পঞ্চায়েত
সমিতির
৪৮টি
আসনের
মধ্যে
মাত্র
৮টি
আসনে
প্রার্থী
মনোনয়ন
জমা
দিতে
পেরেছেন।
তবে
বিজেপি
কোথাও
প্রার্থী
দিতে
পারেনি
বলেই
সূত্রের
খবর।
শাসকদল
তৃণমূলের
বিরুদ্ধে
একই
ভাষায়
সন্ত্রাসের
অভিযোগ
করেছে
সিপিএম
এবং
বিজেপি।
সিপিএমের
হাওড়া
জেলা
সম্পাদক
বিপ্লব
মজুমদার
এবং
বিজেপি-র
হাওড়া
গ্রামীণ
জেলা
সভাপতি
অনুপম
মল্লিক
উভয়ের
অভিযোগ
একই।
লাগাম
ছাড়া
সন্ত্রাস।
উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সমীর পাঁজা কটাক্ষ করে বলেছেন, ওঁরা যদি প্রার্থী খুঁজে না পান তাহলে তো তৃণমূলকে বললেই পারতেন। তৃণমূলের তরফ থেকে সাহায্য করা হত। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সাত বছরে প্রতিটি গ্রামে যে উন্নয়নের জোয়ার বইয়েছেন, শুধুমাত্র তার নিরিখেই মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে। এলাকার তৃণমূল বিধায়কের দাবি, কিছুদিন আগে বিডিও অফিসের সর্বদলীয় বৈঠকে সমস্ত বিরোধী পক্ষকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, স্থানীয় মানুষ বিরোধীদের বিশ্বাস করতে পারছেন না। আর এর থেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন না কেউ।
এক সময়ের 'লাল দুর্গ' হিসাবেই পরিচিত এই বিধানসভা কেন্দ্রটি মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের তালুকে পরিণত হয় এলাকাটি। উলুবেড়িয়া লোকসভার সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদ উদয়নারায়ণপুর কেন্দ্র থেকে সব থেকে বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন।