মুর্শিদাবাদ ও ইসলামপুর পুরসভাও তৃণমূলের দখলে, দলবদল দুই বিধায়কেরও
মুর্শিদাবাদ, ২৮ সেপ্টেম্বর : এবার মুর্শিদাবাদ ও ইসলামপুর পুরসভাও চলে এল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। বুধবার মুর্শিদাবাদের ১১ জন ও কান্দির চারজন কাউন্সিলর যোগ দিলেন তৃণমূলে। একইসঙ্গে তৃণমূল ভবনে এসে দলবদল করলেন ইসলামপুর ও কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়কও। ইসলামপুর পুরসভাও একইদিন দখল করে নিল তৃণমূল।
তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক অব্যাহতই রয়েছে। মুর্শিদাবাদে আরও শক্তিক্ষয় হল কংগ্রেসের। এবার মুর্শিদাবাদ ও কান্দি পুরসভাতেও কংগ্রেস ও বাম শিবিরে ভাঙন ধরল। মুর্শিদাবাদ পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ছিল ১। বাম-কংগ্রেসের ১১ জন কাউন্সিলর এবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা নেওয়ার পর ওই পুরসভায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১২-তে। ফলে ১৬ আসন বিশিষ্ট এই পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল তৃণমূলই।
এদিনের পর মুর্শিদাবাদ জেলায় সাতটি পুরসভার মধ্যে ছ'টি পুরসভাই তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে নিল। কান্দির দিকেও হাত বাড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল। এদিন কান্দির চার কাউন্সিলরও তৃণমূলে যোগদান করেন। এখন শুধু আইনি গেরোয় আটকে রয়েছে এই পুরসভার দখলদারি। কান্দি পুরসভা তৃণমূলের দখলে এলে বিরোধীশূন্য হয়ে যাবে অধীর-গড়। জেলার সমস্ত পুরবোর্ডেই কায়েম হবে তৃণমূলী শাসন।
মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করে গিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের জন্য উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন। ফ্লাইওভার, সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা থাকলে উন্নয়নের কাজ গতি পায়। সেই উন্নয়নের কাজে গতি আনতেই মুর্শিদাবাদ এবার শাসক শিবিরের দিকে ঝুঁকেছে বলে দাবি জেলা তৃণমূলের।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কোনও জোরা খাটানো হচ্ছে না, মানুষ স্বেচ্ছায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন যজ্ঞে যোগ দিতে তৃণমূলে আসছেন। কেউ এলে তো আমরা না বলতে পারি না। তবে তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হবে কি না, তা সম্পূর্ণ বিধানসভার অধ্যক্ষের ব্যাপার। কংগ্রেসে ভাঙন প্রসঙ্গে তাঁর অভিমত, অনৈতিক জোটই কংগ্রেসের পতনের মূল।
ক্রমশই লম্বা হচ্ছে কংগ্রেস বা বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের লাইনটা। শুধু পুরসভার কাউন্সিলররাই নন, এদিন দুই বিধায়কও তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। উত্তর দিনাজপুরের দুই কংগ্রেস বিধায়ক দলত্যাগ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে এদিন তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।