মমতায় আস্থা বিমল গুরুং-এর! স্বাগত জানাল তৃণমূল কংগ্রেস
বিমল গুরুং-এর (bimal gurung) এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। বুধবার রাতে টুইটে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, বিজেপি যে গোর্খাল্যান্ডকে শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে, বিমল গুরুং-এর মন্তব্য তা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। পাহাড়ের সবাই শান্তি ফেরাতে একসঙ্গে কাজ করবে বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

৩ বছর পর প্রকাশ্যে বিমল গুরুং
বুধবার বিকেলে হঠাৎ সল্টলেকে দেখা মেলে বিমল গুরুং-এর। সল্টলেকের গোর্খা ভবনের সামনে গাড়ির মধ্যে তাঁকে দেখা যায় বিকেল ৪ টেয়। ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেট দেওয়া গাড়িতে ছিলেন তিনি। তবে কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ায় গোর্খা ভবনে ঢুকতে পারেননি তিনি।

হঠাৎ জিগবাজি গুরুং-এর
পরে কলকাতাতেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিমল গুরুং। সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের জন্য যেখানে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পালন করেছেন বলে জানান বিমল গুরুং। তাঁর অভিযোগ, মোদী, অমিত শাহ যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তারা পালন করেননি। ছয় বছর হয়ে গেলেও আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণ করা হয়নি। তাই তিনি এনডিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন বুধবার সন্ধেয়।
এর পরেই বিমল গুরুং বলেন, তিনি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চান। পাশাপাশি ২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান বলেও জানান বিমল গুরুং।

বিমল গুরুং-এর সিদ্ধান্তকে স্বাগত তৃণমূলের
এরপরেই রাতে বিমল গুরুং-এর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে টুইট বার্তা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বলা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন, এনডিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এবং শান্তির বার্তাকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিজেপিকে দোষারোপ করে বলা হয়েছে, তারা গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে রাজনীতি হিসেবে ব্যবহার করেছে। বাংলার সাধারণ মানুষের সামনে তা প্রকাশ হয়ে পড়ল বলেও মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

পাহাড়ের শান্তিতে একসঙ্গে কাজ
অপর একটি টুইটে বলা হয়েছে, পাহাড়ের সবপক্ষ অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলি, জিটিএ, সিভিল সোসাইটি শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একসঙ্গে আসবে এবং মাতৃভূমিত উন্নতি ও শান্তির জন্য হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে।

বিজেপির প্রশ্ন
গুরুং-এর বর্তমান অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তারা বলেছে, তৃণমূলের সঙ্গে কোন রফায় এই ভোল বদল। কেননা বিমল গুরুং-তো গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড়। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে মেনে নিলেন, প্রশ্ন করেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত বিমল গুরুং বুধবার বলেছেন ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তিনি। তবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে যে দল গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন করবে, তাদেরই তারা সমর্থন করবেন।