লক্ষ্য ২১-এর নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল! পিকের অঙ্কে তৃণমূলের নিশানায় ৫ জেলার ১০৯ আসন
একদিকে অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষরা দাবি করছেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা ২০০-র বেশি আসন দখল করে রাজ্যে প্রথমবারের জন্য বিজেপি (bjp) ক্ষমতায় আসবে। অন্যদিকে, তৃণমূলের (trinamool congress) তরফে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো
একদিকে অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষরা দাবি করছেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা ২০০-র বেশি আসন দখল করে রাজ্যে প্রথমবারের জন্য বিজেপি (bjp) ক্ষমতায় আসবে। অন্যদিকে, তৃণমূলের (trinamool congress) তরফে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো নেতারা দাবি করছেন আগের বারের থেকে ফল সেরকম কিছু খারাপ হবে না। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে অঙ্ক কষে ফেলেছেন পরামর্শ দাতা প্রশান্ত কিশোর (prashant kishor)।
সামনে রয়েছে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে বিজেপির ২০১৯-এর নির্বাচনে সব থেকে ভাল ফল করেছে। ৪২ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। বিধানসভার নিরিখে এই ফলাফলকে বিবেচনা করলে বিজেপি ২৯৪ টি আসনের মধ্যে এগিয় রয়েছে ১২১ টি আসনে। অন্যদিকে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ১৬৪ টি আসনে। লোকসভা নির্বাচন পরে তৃণমূল ভেঙে শোভন চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, শক্তি বাড়িয়েছে। পথে নেমে তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণও শানাচ্ছেন।
তৃণমূলের হাতিয়ার ২০১৬-র ফলাফল
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২১১ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। পরে কংগ্রেস এবং বামদলগুলি থেকে বহু বিধায়ক শাসকদলে যোগদান করেন। তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, একের পর নেতা বিজেপিতে যোগদান করলেও সাধারণ মানুষ তাদের ছেড়ে যাননি। ফলে আগেরবারের থেকে ফল কোনও অংশে খারাপ হবে না বলেই দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো নেতারা।
তৃণমূলের নিশানায় ৫ বড় জেলার ১০৯ টি আসন
তৃণমূলের
তরফে
২০২১-এর
নির্বাচনে
জয়
পেতে
কলকাতা
ও
আশপাশের
৫
জেলার
১০৯
টি
আসনকে
বেছে
নেওয়া
হয়েছে।
এর
পুরোটাই
প্রশান্ত
কিশোরের
পরামর্শে
বলেই
জানা
গিয়েছে।
জেলাগুলির
মধ্যে
কলকাতা
ছাড়াও
রয়েছে,
উত্তর
ও
দক্ষিণ
২৪
পরগনা,
হাওড়া
ও
হুগলি।
২০১৬
সালের
বিধানসভা
ভিত্তিক
ফলাফলের
নিরিখে
কলকাতা,
উত্তর
২৪
পরগনা,
দক্ষিণ
২৪
পরগনা,
হাওড়া
ও
হুগলিতে
আসন
সংখ্যা
হল
যথাক্রমে
১১,
৩৩,
৩১,
১৬
ও
১৮।
সব
মিলিয়ে
১০৯।
এর
মধ্যে
থেকে
তৃণমূলের
জয়ী
হওয়া
আসন
সংখ্যা
১১,
২৭,
২৯,
১৫,
১৬।
মোট
৯৮
টি
আসনে
জয়
পেয়েছিল
তৃণমূল।
২০১৯-এর
লোকসভা
নির্বাচনের
নিরিখে
কলকাতা,
উত্তর
২৪
পরগনা,
দক্ষিণ
২৪
পরগনা,
হাওড়া
ও
হুগলিতে
যথাক্রমে
৮,
২১,
৩১,
১৫
,
১০
আসনে
এগিয়ে
ছিল
তৃণমূল।
মোট
৮৫
টি
আসনে
এগিয়ে
ছিল
তৃণমূল।
কিন্তু
এরপরে
যতই
দূরত্ব
বেড়েছে
ঘাসফুল
ততই
ফিকে
হয়েছে।
আর
দাপট
বেড়েছে
বিজেপির।
একাধিক কাঁটা তৃণমূলের সামনে
১০৯ টি আসনের মধ্যে ৮৫ টি আসনে তৃণমূল সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও ২০১৯-এর পর থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যু তৈরি হয়েছে এইসব জেলায়। তৃণমূল মিডিয়ার সামনে মানতে রাজি না হলেও, আম্ফানের ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ এই আসনগুলিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহলে। এছাড়াও ২১ তারিখে নতুন দল ঘোষণা করতে যাওয়া আব্বাস সিদ্দিকি সংখ্যালঘুদের ওপরে কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন, তার ওপরও তৃণমূলের ফল নির্ভর করছে। এই দুটি বড় কাঁটা ছাড়াও রয়েছে দলবদলের কাটা এবং মতুয়া ভোটের মতো বিষয়ও।