শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথায় মিল বিধায়কের! ২০২১-এর আগে চাপ বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে
সময় যত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে দলীয় নেতৃত্ব (trinamool congress) কিংবা দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশান্ত কিশোর, ঘাসফুল শিবিরে যেন বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। বাড়ছে বিক্ষুব্ধ বিধায়ক কিংবা
সময় যত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে দলীয় নেতৃত্ব (trinamool congress) কিংবা দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশান্ত কিশোর, ঘাসফুল শিবিরে যেন বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। বাড়ছে বিক্ষুব্ধ বিধায়ক কিংবা জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোহাই দিয়ে সেই বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টাও হচ্ছে বিস্তর।
সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি
সাম্প্রতিক
কালে
রাজ্য
রাজনীতিতে
চর্চিত
নাম
হল
শুভেন্দু
অধিকারী
(subhendu
Adhikari)
।
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পর
কারও
যদি
প্রবল
জন
সমর্থন
থেকে
থাকে
তা
রয়েছে
শুভেন্দু
অধিকারীর।
দিন
কয়েক
আগে
নন্দীগ্রামে
বিজয়া
সম্মিলনীতে
যোগ
দিয়ে
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেছিলেন
তিনি
প্যারাসুটে
নামেননি,
লিফটে
ওঠেননি।
পূর্ব
মেদিনীপুরের
এই
নেতা
নিজের
সম্পর্কে
সভায়
আসা
জনগণকে
তিনি
প্রশ্ন
করেন
আগেকার
শুভেন্দু
অধিকারীর
সঙ্গে
বর্তমানের
শুভেন্দু
অধিকারীর
কোনও
পার্থক্য
আছে
কিনা।
নিজের
রাজনৈতিক
জীবনের
গল্পও
তিনি
করেন।
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেন,
কয়েকদিন
পরে
তাঁর
বয়স
৫০
হয়ে
যাবে।
তিনি
জানান,
১৯৮৭
সালে
তিনি
কলেজে
ঢোকেন।
কিন্তু
প্রথম
বছরটা
কী
করবেন,
তা
তিনি
ঠিক
করতে
পারছিলেন
না।
তবে
পরের
বছরেই
বাম
বিরোধী
রাজনীতিতে।
১৯৮৮
সালে
ক্লাসের
সিআর।
সেইবছর
গেমস
সেক্রেটারি
দিয়ে
শুরু।
১৯৮৯
সালে
উচ্চ
মাধ্যমিক
দেন
তিনি।
ওই
বছরে
অ্যাকাউন্টেন্সি
অনার্স
নিয়ে
ফার্স্ট
ইয়ারে
ভর্তি
হন।
সেবছরই
জিএস
নির্বাচিত।
সাধারণের
সামনে
নির্বাচনে
দাঁড়ান
১৯৯৫
সালে।
অবিভক্ত
কংগ্রেসের
হয়ে
হাত
চিহ্নে
কাউন্সিলর।
এই
সময়ই
তিনি
বলেন,
প্যারাসুটে
নামেননি,
লিফটেও
ওঠেননি।
সিঁড়ি
ভাঙতে
ভাঙতেই
তিনি
ওপরের
দিকে
উঠেছেন।
অনেক সিঁড়ি ভেঙে বর্তমান অবস্থানে
রবিবার বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। সেখানে তিনি বলেন, ভোটে আর তিনি দাঁড়াবেন না। দলের তরফেই তাঁর অসুস্থতার দোহাই দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কথাটা সবাই জানে, কিন্তু তা প্রকাশ্যে বলতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, অনেক সিঁড়ি ভেঙে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছেছেন।
দুর্নীতির অভিযোগ নেই তাঁর বিরুদ্ধে
মুকুল রায়ের কাছ থেকে ৭ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে শীলভদ্র দত্ত বলেন, আগে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দিন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি।
দল ও প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ
দলের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে শীলভদ্র দত্ত বলেন, আবেগকে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কেরল ও বাংলায় আবেগ দিয়ে রাজনীতিটা হয়। ব্যারাকপুরের বিধায়ক বলেন, গোবলয়ের জাতপাতের রাজনীতি আমদানি করা হচ্ছে রাজ্যে। দলের পরামর্শ দাতা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে বাজারি কোম্পানি বলে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, ভাড়া করা সংস্থা রাজনৈতিক জ্ঞান দিচ্ছে, রাজনীতির পাঠ দিচ্ছে। এর আগে কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কন্ট্রাক্টর সংস্থাকে দিয়ে চালাতে গেলে সেই সংগঠনের ক্ষতির সম্ভাবনা হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ।