বাইরে থেকে এসে জ্ঞান, নাম না করে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে বিস্ফোরক শীলভদ্র! আর কী বললেন তিনি
বাইরে থেকে এসে জ্ঞান, নাম না করে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে বিস্ফোরক শীলভদ্র! আর কী বললেন তিনি
আগে বলেছিলেন বাংলার রাজনীতিতে প্রশান্ত কিশোরের (prashant kishor) স্ট্র্যাটেজি যথার্থ নয়। আর এবার বললেন, বাইরে থেকে রাজনীতি করে আসা লোকের কাজে সম্মানহানি হচ্ছে তাঁর। এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর (subhendu adhikari) প্রশংসা শোনা গিয়েছিল শীলভদ্র দত্তের (silbhadra dutta) গলায়। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে অনেকটাই মিল পাওয়া গিয়েছিল কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর।
সম্মানহানি হচ্ছে
বাইরে থেকে রাজনীতি করে আসা লোক, এখানে যেসব প্রশ্ন করছেন তাতে সম্মানহানি হচ্ছে। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের লোকজনের সামনে যে প্রশ্ন রাখা হচ্ছে তাতে, তাঁকে অনেকেই ফোন করছেন। বিষয়টি তিনি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন।
অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাই দিচ্ছে রাজনীতির জ্ঞান
শীলভদ্র দত্তের আরও অভিযোগ, ২০-২২ বছরে যে একদিনের জন্য রাজনীতি করেনি, সে তাঁকে জ্ঞান দেবে, সেটাই তিনি মানতে পারছেন না। এর আগে তিনি বলেছিলেন, বাংলার রাজনীতিতে পিকের স্ট্র্যাটেজি যথার্থ নয়। শীলভদ্র দত্তের অভিযোগ ছিল , আবেগকে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে বাজারি কোম্পানি বলে আক্রমণ করেছিলেন ব্যারাকপুরে তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তিনি বলেছিলেন, ভাড়া করা সংস্থা রাজনৈতিক জ্ঞান দিচ্ছে, রাজনীতির পাঠ দিচ্ছে।
মিহির গোস্বামীও কটাক্ষ করেছিলেন আইপ্যাককে নিয়ে
তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক মিহির গোস্বামী তোপ দেগেছিলেন পিকের সংস্থা আইপ্যাকের বিরুদ্ধে। কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কন্ট্রাক্টর সংস্থাকে দিয়ে চালাতে গেলে সেই সংগঠনের ক্ষতির সম্ভাবনা হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। এই কথা বলার পর তৃণমূল এখনও তাঁকে নাগালের মধ্যে পায়নি।
পদত্যাগ করতে বললে সময় অপচয় নয়
বিজয়া সম্মিলনীর সভায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, দল তাঁকে পদত্যাক করতে বললেন, সময় অপচয় করবেন না। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন সিড়ি ভেঙেই ওপরে উঠেছেন। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে নন্দীগ্রামেও একই কথা বলেছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু সম্পর্কে তাঁর মত ছিল, তিনি রানীতির সম্পদ।
মান অভিমান থাকলে সুব্রত বক্সিকে জানান
এসম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যদি মান অভিমান হয়ে থাকে, তাহলে সুব্রত বক্সিকে জানান। তিনি আরও বলেন, ওনার জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছে। দাঁড়াবেন কি না দাঁড়াবেন, সেটা ওনার বিষয়।
২০২১-এ তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াবেন না, ঘোষণা করেছিলেন
২০২১-এর নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন না, ঘোষণা করেছিলেন শীলভদ্র দত্ত। তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ২০২১-এ ব্যারাকপুরে নতুন প্রার্থী আসবে। তখন থেকেই শীলভদ্র দত্তের অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এব্যাপারে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, অনেক বিধায়কই আসবেন। বাংলার উন্নতি করতে গলে বিজেপির সঙ্গে আসতে হবে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
পাহাড়ে গুরুং কেউ নন! কত আসনের আশ্বাস তারা দিচ্ছেন মমতাকে, জানালেন বিনয় তামাং