মিহির গোস্বামীর পর পিকেকে নিয়ে বেসুরো দক্ষিণবঙ্গের প্রভাবশালী তৃণমূল বিধায়ক! জল্পনা তুঙ্গে
কোচবিহারের তৃণমূল (trinamool congress) বিধায়ক মিহির গোস্বামীর (mihir goswami) পর এবার ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত(Silbhadra Dutta)। দল চালাতে ঠিক করে দেওয়া সংস্থা প্রশান্ত কিশোরের (prashant kishor) আইপ্যাকের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। আবেগকে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও তোপ দেগেছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথায় মিল বিধায়কের! ২০২১-এর আগে চাপ বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে

দলেই অপমানের অভিযোগ করেছিলেন মিহির গোস্বামী
আপাতত তিনি দলের নাগালের বাইরে। দলে জন্মলগ্ন থেকে জড়িত এরকম এক বর্ষীয়ান বিধায়ক মিহির গোস্বামী অক্টোবরের শুরুর দিকে সরব হয়েছিলেন দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিধায়কদের মতামত ছাড়াই তৃণমূলের জেলা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এবিষয়ে জানানো হলেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই দলের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন।

কন্ট্রাক্টর সংস্থা আইপ্যাক, বলেছিলেন মিহির গোস্বামী
দলের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মিহির গোস্বামী তোপ দেগেছিলেন পিকের সংস্থা আইপ্যাকের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কন্ট্রাক্টর সংস্থাকে দিয়ে চালাতে গেলে সেই সংগঠনের ক্ষতির সম্ভাবনা হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। বহিরাগত কোনও সংস্থা কোনও সংগঠনকে পরিচালনা করবে, এটা সংগঠনের তরফে ভাল লক্ষণ নয়, বলেছিলেন তিনি।

আইপ্যাক বাজারি কোম্পানি, সরব ব্যারাকপুরের বিধায়ক
কার্যত মিহির গোস্বামীর সুরে সুর মিলিয়ে বিদ্রোহী ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তিনি প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাককে বাজারি কোম্পানি বলে ব্যাখ্যা করেছেন। দলের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, ভাড়া করা সংস্থা রাজনৈতিক জ্ঞান দিচ্ছে, রাজনীতির পাঠ দিচ্ছে।

আবেগ বিক্রি করা হচ্ছে
দলের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে শীলভদ্র দত্ত বলেছেন, আবেগকে বিক্রি করা হচ্ছে। কেরল ও বাংলায় আবেগ দিয়ে রাজনীতিটা হয়। সেখানে গোবলয়ের জাতপাতের রাজনীতি আমদানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আগেও শীলভদ্র দত্তকে নিয়ে জল্পনা
বেশ কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে শীলভদ্র দত্ত বলেছিলেন, ২০২১-এ ব্যারাকপুরে নতুন প্রার্থী আসবে। অনেক কিছুই তিনি করতে পারেননি বলে অনুযোগ করেছিলেন। সেই সময়ই জল্পনা শুরু হয়, দল কি তাঁকে বলে দিয়েছে, আর টিকিট দেওয়া হবে না, নাকি তিনি নিজেই দাঁড়াতে চান না।
মাস দুয়েক আগে তাঁর এক ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা ছড়ায়। সেখানে শীলভদ্র দত্ত লিখেছিলেন, তিনি মুক্তির সন্ধানে রয়েছেন।

মুকুল রায়ের সঙ্গে বিদ্রোহে সঙ্গ দিয়েছিলেন ২০১৫ সালে
১০ বছর ধরে তৃণমূল বিধায়ক থাকা শীলভদ্র দত্ত বিধায়ক থাকার প্রথম দফায় মুকুল রায়ের সঙ্গে বিদ্রোহে সঙ্গ দিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। সেই সময় তাঁকে পরিষদীয় সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। যদিও তারপরেও ২০১৬-তে ব্যারাকপুর থেকেই তাঁকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল।
ছবি সূত্র: ফেসবুক