দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের সরব! ভোটের আগে অস্বস্তি বাড়ালেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই
দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ফের দলেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই বিতর্ক কাটতে না কাটতেই ফের সরব হলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল (trinamool congress) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (rabindranath bhattacharya)। তাঁর প্রতি দল সৌজন্য দেখায়নি বলে অভিযোগ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
কাঁথির প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ! নন্দীগ্রামে মমতার পাল্টা সভা করার কথা ঘোষণা শুভেন্দুর

যত গণ্ডগোল ব্লক সভাপতিকে নিয়ে
রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের যত ক্ষোভ ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধারাকে নিয়ে। তিনি বলেছেন, এই নিয়োগের ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব একক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এব্যাপারে বিধায়ককেও অগ্রাহ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমন কী সৌজন্যও দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সিঙ্গুরের ৪ বারের বিধায়ক।

দুর্নীতির অভিযোগে সরব
নিজের মনোনীতকে জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করার অভিযোগ মাস দেড়েক আগে করেছিলেন সিঙ্গুরের প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের। সেই সময় তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, যে সব লড়াকু কর্মীরা খেটে দলের পরিস্থিতি ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন, তাঁদের সরিয়ে পিকের টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন কমিটিতে দুর্নীতিগ্রস্তদের বসানো হয়েছে। যদি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এর পরিবর্তন না করে, তাহলে দল পরিবর্তন করতে পারেন। যদিও এর পরেই কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় মাস। বিষয়টি নিয়ে আবারও সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ দল নিযুক্ত ব্লক সভাপতি আপাদমস্তক দুর্নীতি ডুবে রয়েছেন। যে নসিবপুর গ্রাম থেকে তৃণমূল বরাবর এগিয়ে থাকত, সেই গ্রামের দায়িত্ব পাওয়ার পরে ওই নেতার অধীনে দল পিছিয়ে পড়েছে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অসৎরা দলে ক্ষমতা পাচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেছেন তিনি।

উপযুক্ত সময় এলে প্রতিবাদ
এদিন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই নিজের অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, উপযুক্ত সময় এলেই প্রতিবাদ করা হবে। তবে কখন হবে সেই উপযুক্ত সময়, তা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। এর আগে ওই প্রবীণ বিধায়ক অভিযোগ করেছিলেন অন্যায় করেও দলের পরিচালক হতে পারলেও, যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, তাদের কার্যত দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি মেনে নেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

যাঁরাই বিজেপিতে গিয়েছেন সম্মানহানির অভিযোগ করেছেন
যাঁরাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই সম্মানহানির অভিযোগ করেছেন। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন মুকুল রায়, ঠিক তেমনই রয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীও। সম্মানহানির অভিযোগ করে ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মিহির গোস্বামী এবং শীলভদ্র দত্তও। তবে এব্যাপারে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাননি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।