অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি! গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্টে অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি
অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি আর তার জেরে গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্টের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান এক ব্লকের রায়ান ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। পারিবারিক বিবাদে নাক
অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি আর তার জেরে গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্টের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান এক ব্লকের রায়ান ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। পারিবারিক বিবাদে নাক গলিয়ে ওই তৃণমূল নেতা এক মহিলা ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত নেতা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পারিবারিক বিবাদে তৃণমূল নেতা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে রবিবার রাতে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয় পঞ্চায়েত সদস্য রূপা বিবির আত্মীয়দের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। সেই সময়ই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ জামালের নাম জড়িয়ে পড়ে। যদিও সেই সময়ের মতো ঝামেলা মিটে যায়। সোমবার আবার ঝগড়া বাধে।
অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ
পারিবারিক বিবাদে কেন তৃণমূল নেতা শেখ জামালের নাম করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন শেখ জামালের স্ত্রী। সেই সময় রাকিয়া বিবি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে সালু বিবির ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় তৃণমূল নেতা শেখ জামাল সালু বিবির পেটে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ
রাকিয়া বিবি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে সালু বিবির অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তাঁদের ওপর হামলা করেছে। পেটে লাথি মারায় গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতার
সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ জামাল। তাঁর দাবি ঘটনায় সময় তিনি এলাকাতেই ছিলেন না। লাথি মারা কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তবে তাঁর স্ত্রী এই ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।