মোহভঙ্গ বিজেপিতে! 'গ্রহণ' কাটিয়ে ফের দলে দলে যোগদান, কার্যালয় পুনরুদ্ধার তৃণমূল কংগ্রেসের
লোকসভা ভোটে হারের পর থেকেই তৃণমূলে গ্রহণ লেগেছিল। এক এক করে নেতারা গেরুয়া পার্টিতে নাম লিখিয়েই চলছিলেন। একের পর এক পার্টি অফিসও দখল হয়ে যাচ্ছিল।
লোকসভা ভোটে হারের পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে গ্রহণ লেগেছিল। এক এক করে নেতারা গেরুয়া পার্টিতে নাম লিখিয়েই চলছিলেন। একের পর এক পার্টি অফিসও দখল হয়ে যাচ্ছিল। তবে সম্প্রতি সেই পথে কাঁটা বিছিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূলে। তারপর থেকেই ফের পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার অভিযানও শুরু হয়েছে।
দলীয় কার্যালয় পুনরুদ্ধার
সেই অভিযানেরই অঙ্গ হিসেবে দলীয় কার্যালয় পুনরুদ্ধার করল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের পর খানাকুলের কিশোরপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বন্দিপুর গ্রামের সাত নম্বর সংসদ কার্যালয় হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। এদিন তা পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হল তৃণমূল।
বিজেপিতে মোহভঙ্গ
লোকসভা নির্বাচনের পর এই পঞ্চায়েতের বেশকিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। তারপরই কার্যালয়টি বিজেপির দখলে চলে যায়। এরপরই বিজেপিতে মোহভঙ্গ হয়। তাঁরা ফিরে আসেন তৃণমূলে। ফের তৃণমূল নবোদ্যমে নেমে পড়ে দলীয় পতাকা বাঁধার কাজে। ফের তৃণমূল ফিরে পায় তাদের অফিস।
দলীয় কার্যালয়ে কাজকর্ম শুরু
এদিন পার্টি অফিস খুলে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন খানাকুল এক নম্বর ব্লকের সভাপতি শেখ সাকিম। উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্দীপ বর-সহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। দলীয় কার্যালয়ে কাজকর্ম শুরু হয়ে যায় পূর্ণ উদ্যমে। এলাকায় বিশাল মিছিলে করে তৃণমূল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে
সাকিম বলেন, তৃণমূলে ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরই মোহভঙ্গ হয়েছে। তাঁরা আবার ফিরে এসেছেন ঘরে। তাই পুরনোদের ঘরে ফেরায় নতুন করে উদ্যম শুরু হয়েছে। একমাত্র তৃণমূলই পারে এলাকার উন্নয়ন করতে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে তাঁরা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন।
[ ভোট যুদ্ধে আজ যুযুধান দুই পক্ষ, মহারাষ্ট্রে আজ প্রচার যুদ্ধে মোদী-রাহুল]