মুকুলের পথেই কি তৃণমূল সাংসদ! জল্পনার মাঝেই রাখঢাক না রেখে স্পষ্ট করলেন অবস্থান
রাজনৈতিক মহলে যখন জোর জল্পনা তৃণমূল কংগ্রেসে অনুপমের ভবিষ্যৎ নিয়ে, তখন কোনও রাখঢাক না করেই দলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সাংসদ নিজেই।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই দলের রোষানলে পড়েছেন তিনি। শাস্তির খাঁড়াও ঝুলছে। লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরার বিরুদ্ধে শোকজের নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই অবস্থায় রাজনৈতিক মহলে যখন জোর জল্পনা তৃণমূল কংগ্রেসে অনুপমের ভবিষ্যৎ নিয়ে, তখন কোনও রাখঢাক না করেই দলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সাংসদ নিজেই।
[আরও পড়ুন:দুর্ঘটনা ও বিপর্যয়ের মোকাবিলা কীভাবে করবেন, ট্রেনিং দেবে রাজ্য সরকার]
অনুপমের অবস্থা কি তবে কুণাল ঘোষ বা মুকুল রায়ের মতো হয়ে চলেছে! কান পাতলে এই নিয়েই শোনা যাচ্ছে আলোচনা। এতসবের মধ্যে নিজের অবস্থান নিয়ে অনুপম আছেন অনুপমেই। যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেই তাঁকে দলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে সেই সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করলেন তৃণমূল সা্ংসদ।
অনুপম তাঁর নয়া ফেসবুক পোস্টে বুঝিয়ে দিলেন তিনি দিদি-র সততা আর মূল্যবোধের আদর্শকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে এসেছেন। ভবিষ্যতেও তা-ই করবেন। এবং তাঁর লেখায় স্পষ্ট হয়েছে, তিনি বিজেপির তাঁবেদারি করেননি, করেনও না। তিনি স্পষ্ট কথা স্পষ্ট বলতে পছন্দ করেন। তা-ই তিনি করেছেন। কোনওরকম দলবিরোধী কাজ তিনি করেননি বলেই মত ব্যক্ত করেন অনুপম হাজরা।
২২ ফেব্রুয়ারি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন- '২০১৪ সালের ১৯ মে সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার দিন মানসিকভাবে আরও একটা শপথ নিয়েছিলাম। সেটা হল দিদিভাই-এর সততা আর মূল্যবোধের আদর্শকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার। আজ পর্যন্ত তা পালন করে এসেছি, ভবিষ্যতেও তা করে যাব। বাঙালি হিসেবে নেতাজিকে গান্ধীজির তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করায় পেলাম দলবিরোধী তকমা। পেলাম অনেক মানসিক যন্ত্রণা।''
[আরও পড়ুন: প্রত্যন্ত গ্রামেও চিকিৎসা বিপ্লব আনতে উদ্যোগী মমতার সরকার]
এরপরই তিনি নিজের দলের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন- 'তাহলে কি দলের জন্মদাত্রীর ন্যায়-নীতি-আদর্শকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার কোনও মূল্য নেই দলে?' এই পোস্টের প্রথম কথায় যেমন প্রত্যয় ছিল তাঁর কথায়, তেমনই শেষ কথায় হতাশার ছাপ। সেই কথাই অনেক জল্পনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে।
বিশেষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি- দলের মধ্যে থেকে এসব করা যাবে না। তারপর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকজের চিঠিতে দলে অনুপমের অবস্থান নিয়ে জল্পনা চলছে। অনুপমকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে ৩ মার্চের মধ্যে। তার মধ্যেই অবশ্য ফেসবুক পোস্ট অনেক বার্তা দিয়ে গেল।