পার্টি অফিস বিক্রির পর এবার কন্ট্রাক্টর কার্যালয়! শুভেন্দু গড়ে তৃণমূলের 'অন্তর্কলহ নিয়ে শোরগোল
পার্টি অফিস বিক্রির পর এবার কন্ট্রাক্টর কার্যালয়! শুভেন্দু গড়ে তৃণমূলের 'অন্তর্কলহ নিয়ে শোরগোল
বামেদের দুর্দিন। সেই পরিস্থিতিতে অনেক জায়গাতেই পার্টি অফিস ভাড়া দিতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন বামদলকে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল পার্টি অফিস ভাড়া দিয়েছেন এখন ঘটনা প্রথম। তাও আবার শুভেন্দু অধিকারীর (subhendu adhikari) জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে। পটাশপুরের পঁচেটে তৃণমূলের (trinamool congress) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযুক্ত নেতা অভিযোগ মানতে নারাজ।
শাসকদলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে
দলকে না জানিয়েই পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। ভোটের আগে দলীয় অফিস ভাড়া দেওয়ায় সংগঠনের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ করেছে দলের একাংশ। মিটিং হোক কিংবা গোপন বৌঠক কিছুই করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পঁচেটের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নীলমাধব দাস অধিকারী।
অভিযোগে আমল দিতে রাজি নন অভিযুক্ত
যদিও অভিযুক্ত নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ। পটাশপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি চন্দন সাউ দাবি করেছেন, স্থানীয় রাস্তার কাজ তাড়াতাড়ি করতে কন্টাক্টরের জিনিসপত্র ও লোকজন থাকার জন্য বিনামূল্যে পার্টি অফিসটিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। এর বদলে কোনও টাকা পয়সা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি। ওই নেতা আরও বলেছেন, পার্টি অফিসের সামনে যেহেতু ফাঁকা জায়গায় রয়েছে, তাই কাজের জিনিসপত্র রাখতে সুবিধা হচ্ছে। তবে এই কাজের জন্য সেখানে মিছিল মিটিং আটকে নেই বলেও দাবি করেছেন ওই নেতা।
বিজেপির কটাক্ষ
যদিও বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির তরফে কাঁথির সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেছেন, বর্তমান সময়ে আম্ফানও নেই , আর কাটমানিও নেই। ফলে আয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার পারলে ওরা কালীঘাটের টালির চালাও ভাড়া দিয়ে দেবে।
পঞ্চায়েতের দখল নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল পটাশপুর
এর আগে এলাকার পঞ্চায়েতের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল পটাশপুর। গতমাসে হওয়া সেই দ্বন্দ্বে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। সেই সময়ও অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল। এবার একই এলাকায় পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে শাসক শিবিরে অন্তর্কলহ ফের প্রকাশ্যে চলে এল।
কোলাঘাটে রাতারাতি পার্টি অফিস বিক্রি
মাস কয়েক আগে এই পূর্ব মেদিনীপুরেই তৃণমূলের পার্টি অফিস বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কোলাঘাটের গঙ্গামারো গ্রামের সেই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানব সামন্তের বিরুদ্ধে। আটলক্ষ টাকায় বাখানবেড়িয়ার বাসিন্দা শেখ রাজার কাছে পার্টি অফিসটি বিক্রি করা হয়ছিল বলে অভিযোগ। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে ওই নেতা জানিয়েছিলেন, জমিটি তাঁর। তাই যে অভিযোগ উঠছে তা মিথ্যা।
শুভেন্দু-রাজীবের মুখ এবার একই পোস্টারে! একুশের আগে নবান্নের উপকণ্ঠে কোন নির্ঘোষ