ফের বেফাঁস প্রভাবশালী নেতা! দাগীদের ভোটে জেতায় তৃণমূল, বিস্ফোরক মন্তব্যে জল্পনা
কোচবিহারের উদয়ন গুহ, হুগলির বেচারাম মান্নার হুঁশিয়ারির জের এখনও কাটিীয়ে উঠতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস(trinamool congress)। তারই মধ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন, জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলার তৃণমূলের এস
কোচবিহারের উদয়ন গুহ, হুগলির বেচারাম মান্নার হুঁশিয়ারির জের এখনও কাটিীয়ে উঠতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস(trinamool congress)। তারই মধ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন, জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলার তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস। দলের নেতাদের উদ্দেশে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতার মন্তব্য জল্পনাও তৈরি হয়েছে।
উপকূলের দিকে এগোচ্ছে অতি গভীর নিম্নচাপ! পশ্চিমবঙ্গে কোন প্রভাব, আবহাওয়ার রিপোর্টে কোন সতর্কতা
জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের কর্মিসভা
কেন্দ্র ধরে ধরে কর্মিসভা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনই একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল জলপাইগুড়ির আর্ট গ্যালারিতে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গৌতম দেবের মতো নেতাও।
সভায় বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
সভায় একটা সময় বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন জেলায় দলের এসসি-এসটি সেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস। তাঁকে বলতে শোনা যায়, দল যদি দাগিদের ভোটে জেতাতে পারে, তাহলে শহরে তাবড়, তাবড় নেতা ও ভাল মানুষ থাকতে কেন ভোটে জিততে পারি না? এরপরেও তিনি দলীয় নেতৃত্বকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি বলেন, জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্র জিতে দেখাবেন। প্রসঙ্গত এই আসনে বিধায়ক কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মা।
জলপাইগুড়িতে একের পর এক নির্বাচনে হার
২০১৯-এর নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির কাছে জলপাইগুড়ি লোকসভার আসন খুইয়েছে। সেই ভোটে জলপাইগুড়ি আসনে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস
জলপাইগুড়ির এই নেতার মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় উপস্থিত পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এব্যাপারে কোনও উত্তর দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, সব প্রশ্নের উত্তর তিনি দেবেন না। তবে প্রশ্ন উঠেছে, কাকে দাগী বললেন কৃষ্ণ দাস। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে উদ্দেশ্য করে এই কথা বলেছেন ওই নেতা।
জোর করে ভোট করানোর অভিযোগ ছিল কৃষ্ণ দায়ের বিরুদ্ধেও
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারা রাজ্যে কোথাও ভয় দেখিয়ে, কোথাও জোর করে ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তখন তেমন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন কৃষ্ণ দাসও। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হাত থেকে জলপাইগুড়ি বেরিয়ে গেলেও, নিজের এলাকায় ভোট ধরে রেখে দলের তারিফ কুড়িয়েছিলেন কৃষ্ণ দাস। কর্মিসভায় এই নেতা নিজেকে ভোট ছিনতাইকারী, মস্তান বলেও মন্তব্য করেন।
একের পর এক নেতার বেফাঁস মন্তব্য
নির্বাচন
যত
এগিয়ে
আসছে,
তৃণমূলের
একের
পর
এক
নেতা
বেফাঁস
মন্তব্য
করছেন।
রবিবার
হরিপালের
তৃণমূল
বিধায়ক
বেচারাম
মান্না
বলেন,
যদি
পার্টিতে
থেকে
করে
খেয়ে
কর্মীদের
বঞ্চিত
করেন,
তাহলে
কর্মীরা
তাঁকে
ঘাড়
ধাক্কা
দিয়ে
বের
করে
দেবে।
অন্যদিকে
দিনহাটার
তৃণমূল
বিধায়ক
উদয়ন
গুহ
বলেছিলেন,
তাঁকে
হারানোর
চক্রান্ত
চলছে।
দলের
একাংশের
বিরুদ্ধে
প্রতারণার
অভিযোগ
ছাড়াও
চাকরি
দেওয়ার
নাম
করে
কোটি
কোটি
টাকা
তোলার
অভিযোগও
তিনি
কর্মিসভায়
করেছিলেন।