সংরক্ষণের গেরোয় ‘বাদ’ পুরপ্রধানরা! এবার ভোটে বিপাকে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস
সংরক্ষণের গেরোয়া মাথায় হাত পড়ছে তৃণমূলের। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ হতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এবার হেভিওয়েট প্রার্থীরা লড়তে পারবেন না ভোটে।
সংরক্ষণের গেরোয়া মাথায় হাত পড়ছে তৃণমূলের। আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ হতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এবার হেভিওয়েট প্রার্থীরা লড়তে পারবেন না ভোটে। বিশেষ করে বর্ধমান ও গুসকরা পুরসভার খসড়া সংরক্ষণ তালিকায় কোপ পড়ছে পুরপ্রধান, উপপুরপ্রধান-সহ হেভিওয়েট কাউন্সিলরদের উপরেও।
বর্ধমানের দুই পুরসভাই তৃণমূল পরিচালিত। ভোট আসন্ন নভেম্বরেই। বর্ধমান পুরসভায় মোট ওয়ার্ড ৩৫। এই ৩৫টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসন সংরক্ষণের কোপে পড়েছে। ১২টি আসন মহিলা তপশিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষিত। বাকি দুটি সাধারণ তপশিলি জাতি ও উপজাতি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।
[আরও পড়ুন: কোথায় কালো টাকা! বাতিল নোটের প্রায় পুরোটাই ফিরেছে ব্যাঙ্কে, রিপোর্ট খোদ আরবিআইয়ের]
এই সংরক্ষণের কোপে পড়েছে পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডও। ফলে তাঁরা এবার নিজস্ব ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। তাঁদের দাঁড়াতে গেলে পার্শ্ববর্তী কোনও ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতে হবে। শুধু বর্ধমান পুরসভাই নয়, একই চিত্র ধরা পড়েছে গুসকরার ক্ষেত্রেও।
[আরও পড়ুন: উপযুক্ত নিরাপত্তা চাই, বিডিও-কে আবেদন জানালেন নামখানা স্কুলের নিগৃহীত শিক্ষকরা ]
পূর্ব বর্ধমানের এই পুরসভায় ১৬টির মধ্যে সংরক্ষণের আওতায় ৯টি ওয়ার্ড। সেই নটি ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে পুরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডও। একইসঙ্গে সংরক্ষণের কোপে পড়েছে পুরসভার বিরোধী দলনেতার ওয়ার্ডও। বিরোধী দলের কাউন্সিলররাও কোপে পড়ছেন সংরক্ষণের। সদ্য প্রকাশিত খসড়া সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে এখন বিপাকে শাসকদল তৃণমূল। সমস্যায় বিরোধীরাও।
[আরও পড়ুন: 'মোদী-দিদি এক কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ', আমডাঙা হিংসায় গোপন আঁতাতের তোপ ইয়েচুরির]