শুভেন্দুর থাবায় তৃণমূল কংগ্রেস আড়াআড়ি দুভাগ! 'বাহুবল' দেখালেন অধীর গড়ে
শুভেন্দু অধিকারীকে (subhendu adhikari) নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে গেল। রবিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার মাড়গ্রামে প্রয়াত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বন ভূমি কমার্ধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মণ্ডলে স্মরণ সভায় যোগদান করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভায় জেলাপরষিদের অনেক তৃণমূল নেতা উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না মুর্শিদাবাদ জেলার অনেক তৃণমূল নেতা। সভায় প্রয়াত নেতাকে মাটি থেকে উঠে আসা নেতা বলে সম্বোধন করেন শুভেন্দু।

মমতার ছবি দিয়ে সভা করার দাবি ছিল জেলা তৃণমূলের
বেশ কিছু দিন ধরেই খড়গ্রাম এই স্মরণ সভাকে ঘিরে রাজনৈতিক পারদ ছিল তুঙ্গে। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ বনাম জেলা তৃণমূল কাজিয়া ছিল প্রকাশ্য। প্রথমে এই সভা হওয়ার কথা ছিল মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে খড়গ্রামের নগর কৃষক বাজারে। কিন্তু জেলা তৃণমূল পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, তৃণমূল ব্যানারে করতে হবে এই সভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও দিতে হবে সেখানে। আর তাতেই বেঁকে বসে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ বহু সদস্য। শেষে ঠিক হয় স্মরণ সভা হবে প্রয়াত মফিজউদ্দিন মণ্ডলের নিজের গ্রামে এবং এলাকার বাসিন্দারা সেই সভা আয়োজন করবেন।

প্রধান বক্তা শুভেন্দু, ছিলনা মমতার পোস্টার
রবিবার সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এই সভায় কোথাও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল পোষ্টার ছিল না। মফিজউদ্দিন মণ্ডলের ছবিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয় প্রয়াত মফিজউদ্দিন মণ্ডলের পরিবারকে।

মাটি থেকে উঠে আসা নেতা
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, তিনি আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মফিজউদ্দিন মণ্ডলের বাড়ি তিনি যাবেন। তিনি ছিন্নমূল নেতা ছিলেন না। ছিলেন মাটি থেকে উঠে আসা নেতা। গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য তিনি সব সময় ভাবতেন। মফিজউদ্দিন মণ্ডল যেদিন প্রয়াত হন সেদিন কোভিড হাসপাতালে একটি গন্ডগোল তৈরি হয়। মফিজউদ্দিন মণ্ডলের ছেলে সহ চারজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই পরিবার উদ্বেগ রয়েছে, পুলিশ নাকি চার্জশিট দিয়েছে। তিনি সেই চার্জশিটে বিরুদ্ধে আইনগত সাহায্য করবেন। তিনি আগেও ছিলাম, ভবিষ্যতে আছেন, আগামী দিনেও থাকবেন।

উপস্থিত জেলা পরিষদের ৪৫ জন সদস্য
এদিনের স্মরণ সভায় তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের তরফে কাউকে দেখা না গেলেও জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি সহ একাধিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এদিনের সভায় ৪৫ জন জেলা পরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যেরা উপস্থিত রয়েছেন। ছিলেন না জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান।

মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক
মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত মফিজউদ্দিন মণ্ডল কংগ্রেস সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মফিজউদ্দিন মণ্ডল রাজনৈতিক মতাদর্শ তাঁর হাত ধরে পরিবর্তন করেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছিলেন।
মুর্শিদাবাদ জেলাবাসী যখনই বিপদে পড়বেন তখনই তিনি আসবেন। দলের কোনও কথা উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, অতীতকে ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়। বরঞ্চ সম্মান দেওয়া উচিত, তিনি সেটাই মনে করেন। শুভেন্দু অধিকারী যাতে সেবার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

বাংলায় ২০২১-এর যুদ্ধ জয়ে কাদের টার্গেট করেছেন অমিত শাহ! দায়িত্ব বোঝালেন দিলীপ