বিজেপিকে সাহায্য তৃণমূল প্রার্থীর! পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই বহিষ্কার করল দল
সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার শাস্তিস্বরূপ দলীয় প্রার্থীকেই বরখাস্ত করল তৃণমূল কংগ্রেস।
সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার শাস্তিস্বরূপ দলীয় প্রার্থীকেই বরখাস্ত করল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট মিটতেই পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভি শিবদাসন দাশু এই বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: রাত পোহালেই রাজ্যে ফের ভোট! কোন জেলায় ক'টি কেন্দ্রে বসছে ভোটের আসর, একনজরে]
জেলা সভাপতি জানান, শুধু ওই প্রার্থীই নয়, যে বড় নেতার কথা শুনে ওই প্রার্থী কাজ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বহিষ্কৃত তৃণমূল প্রার্থীর নাম রমেন্দ্রনাথ মণ্ডল। তিনি কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এবার ওই পঞ্চায়েত সমিতির ১২ নম্বর আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় এক প্রার্থীকে হারানোর জন্য তিনি বিজেপিকে সাহায্য করেছিলেন। সোমবার ভোটের দিনেই এই অভিযোগ ওঠে। আগেও রমেন মণ্ডলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রার্থী কাঞ্চন ব্যাপারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল আদায় কাঁচকলায়। তাই তাঁকে হারানোর জন্য ভিন্ন পন্থা নেন রমেন, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগ পাওয়ার পরই বিষয়টি খতিয়ে দেখে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপর উর্ধ্বতন নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে রমেনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন কাঞ্চনদেবী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দুদিন আগে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ রমেনের বিরুদ্ধে।
কাঞ্চনদেবী যেমন দলের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন, আবার নির্বাচন কমিশনের কাছেও রমেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তারপর ভোটের দিনেও বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। ভোট মিটতেই তাই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল দল। দল বিরোধী কাজের জন্যই এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি। পঞ্চায়েতের পুনর্নির্বাচন মিটলে অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।