তাপসী মালিকের সিঙ্গুর আজও সবুজ, অন্তর্দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও জয়জয়কার তৃণমূল কংগ্রেসের
তৃণমূলেরই একটা অংশ ঘুরে বসেছিল নির্বাচনের আগে। এমনকী তাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তারপরও অবশ্য তৃণমূলের জয় আটকাল না।
তৃণমূলেরই একটা অংশ ঘুরে বসেছিল নির্বাচনের আগে। এমনকী তাঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এই তালিকায় ছিলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের মুখ নিহত তাপসী মালিকের বাবা মনোনরঞ্জন মালিকও। তারপরও অবশ্য তৃণমূলের জয় আটকাল না। প্রত্যাশা মতো সিঙ্গুরের ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতই চলে এল তৃণমূলের দখলে।
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা শুরু হতেই চতুর্দিকে তৃণমূলের জয় জয়কার। ফের সবুজ ঝড় উঠেছে সিঙ্গুরে। সিঙ্গুরের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই তৃণমূল বিজয়ী হয়েছে। বিরোধীরা কোনও খাতা খুলতে পারেনি। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ বিরোধীরাও কল্কে পায়নি এই ভোট লড়াইয়ে।
[আরও পড়ুন:বিজেপির 'ভাল' ফল কি মুকুল রায়ের জন্যই? কী বলছে অন্দরমহল]
এবার পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া নিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিল সিঙ্গুর। মূল লড়াই ছিল বেচারাম মান্নার অনুগামী বনাম রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামীদের মধ্যে। তাপসী মালিক খুনে অভিযুক্ত দেবু মালিকের ভাইপো রথীন মালিককে টিকিট দেওয়াতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। বেচারাম মান্নার অনুগামী বলে পরিচিত রথীনকে প্রার্থী করায় বেঁকে বসেন তাপসীর বাবা মনোনরঞ্জন মালিক।
এই অবস্থায় বিক্ষুব্ধদের একটা গোষ্ঠী তৈরি হয়। স্বভাবতই তাঁরা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অনুগামী। সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই মানতে পারেননি তৃণমূলের উপরতলার এই সিদ্ধান্তও। শেষমেশ তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মনোরঞ্জন মালিকও। এছাড়াও পঞ্চায়েত স্তরে বহু ক্ষেত্রেই অন্যরকম সমীকরণ তৈরি হয়। তবে সেইসব আশঙ্কার মেঘ দূর করে সিঙ্গুরে জয়ী হয় তৃণমূলই।
উল্লেখ্য, এবার সিঙ্গুরে মনোমালিন্য থাকলেও ভোট হয়েছে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণভাবেই। সেই নিরিখে গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ফল আশাব্যঞ্জক। সিঙ্গুরের মানুষ স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁরা কোনদিকে। এখন অপেক্ষা পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ফল কোনদিকে যায়।
[আরও পড়ুন: চড়া মেজাজে মন্ত্রী, ধমক এবার পুলিশকে! পঞ্চায়েতের ফলাফল প্রকাশের দিনেও উত্তেজনা ]