বিজেপির উত্থানে তৃণমূলকেই বেছে নিল গণিখানের জেলা, কর্তৃত্ব হারাল কংগ্রেস-বাম
গনিখানের জেলাতেও কংগ্রেসের বাড়বাড়ন্ত শেষ। মালদহে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হল কংগ্রেসের। এই জেলাতেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দাপট দেখা দিল গ্রাম পঞ্চায়েতে।
গনিখানের জেলাতেও কংগ্রেসের বাড়বাড়ন্ত শেষ। মালদহে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হল কংগ্রেসের। এই জেলাতেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দাপট দেখা দিল গ্রাম পঞ্চায়েতে। এমনকী দ্বিতীয় স্থানও ধরে রাখতে পারল না কংগ্রেস। তাঁদের সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বিজেপি। আর বামফ্রন্ট নেমে গেল চতুর্থ স্থানে।
[আরও পড়ুন:গণনা কেন্দ্রে ছাপ্পার পর এবার সার্টিফিকেট 'বদল'! সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের গুলি]
মালদহের গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল সামনে আসতেই কংগ্রেসের বিপর্যয়ের চিত্র স্পষ্ট হয়। কংগ্রেসকে সরিয়ে গনিখানের জেলায় শীর্ষে উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। এই জেলায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েত ১৪৬টি। তার মধ্যে ৫১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিজেপি জিতেছে ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। কংগ্রেসের দখলে মাত্র তিনটি পঞ্চায়েত। আর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই জেলায় ৪৭টি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়েছে।
মোট আসনের মধ্যে ৫৫৬টিতে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সবাইকে তাক লাগিয়ে এই জেলায় বিজেপি উঠে এসেছে দু-নম্বর। বিজেপির দখল নিয়েছে ২৮৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন। কংগ্রেস জিতেছে ২০৭টি আসনে আর বামেদের দখলে ৬৫টি আসন। এতদিন এই জেলায় সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসই এই জেলা কথা ছিল।
কিন্তু বিজেপি যখন দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসছে রাজ্যে, তখন প্রথম শক্তি হিসেবে জেলায় উত্থান হল তৃণমূলেরই। কংগ্রেস পিছু হটল তৃতীয় স্থানে। কংগ্রেসের মতোই ক্ষয়িষ্ণু বামেরা নেমে গেল চতুর্থ স্থানে। অথচ দু-বছর আগেও এই জেলায় প্রধান দুই শক্তি ছিল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট।
[আরও পড়ুন: বিজেপির 'ভাল' ফল কি মুকুল রায়ের জন্যই? কী বলছে অন্দরমহল]