মিরিকে জয়ী তৃণমূল, তিন দশক পর পাহাড়ে শাসন কায়েম সমতলের রাজনৈতিক কোনও দলের
মিরিকের ন’টি ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টিতে জয়ী হয়ে পুরসভার ক্ষমতা মোর্চার হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি তিনটি আসন গিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দখলে।
পাহাড়েও ফুটল ঘাসফুল। মিরিক পুরসভা দখল করে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই জয়ের ফলে তিন দশক পর পাহাড়ে জয়ী হল সমতলের কোনও রাজনৈতিক দল। মিরিকের ন'টি ওয়ার্ডের মধ্যে ছ'টিতে জয়ী হয়ে পুরসভার ক্ষমতা মোর্চার হাত থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি তিনটি আসন গিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দখলে।
মিরিক পুরসভার ১, ৪, ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড বাদে বাকি ন'টি ওয়ার্ডে জয়ী হয় তৃণমূল। পাহাড়ে কোনও প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। সবক'টি আসনই তারা ছেড়ে দিয়েছিল জোটসঙ্গী মোর্চাকে। সেই মোর্চা যে এবার মিরিকে খারাপ ফল করতে চলেছে, তার আভাস আগেই মিলেছিল। বিমল গুরুং চিন্তিত ছিলেন মিরিক পুরসভা দখলে রাখার ব্যাপারে।
এই পুরসভায় মোর্চার অনেক গোঁজ প্রার্থী ছিল। ফলে সুবিধা হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েই মিরিক দখল করল তারা। মিরিকই যে তৃণমূলের পাহাড়ে পা রাখতে প্রথম টার্গেট ছিল, তা বোঝা গিয়েছিল আগে থেকেই। মিরিককে মহকুমা হিসেবে ঘোষণা করা তেমনই একটি পদক্ষেপ। মিরিকের উন্নয়ন যে মোর্চা আমলে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, তাও তুলে ধরা হয়েছিল প্রচারে।
তিন দশক আগে বামেরা পাহাড়ে প্রভাব রেখেছিল। তারপর থেকেই প্রথমে সুভাষ ঘিসিং, তারপর বিমল গুরুংই দাপট দেখিয়ে এসেছে। এবার পট পরিবর্তন হল পাহাড়ে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার ছুটে গিয়েছেন পাহাড়ে। পাহাড়ে নিজের আধিপত্য কায়েম করতে চাইছিলেন। মিরিক দিয়েই তার শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে বিমল গুরুংয়ের পৃথক গোর্খাল্যান্ড ইস্যু কাজ করেনি। বরং মমতার প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভরসা রেখেছেন মিরিকের মানুষ।