'বেসুরো' ঝড়, এবার সরব মমতার ঘনিষ্ঠ বিশ্বাস পরিবার! জল্পনা তুঙ্গে
দিন যত ভোটের দিকে এগোচ্ছে, তৃণমূলে (trinamool congress) বিক্ষুব্ধ নেতানেত্রীর সংখ্যাও বাড়ছে। একজনের ক্ষোভের সমাধান হতে না হতেই আরেকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। এই তালিকায় নবতম সংযোজন কলকাতা পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাস (jui biswas)। দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। যা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।

দলের একাংশকে হুঁশিয়ারি
দলের একাংশের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ২০২১-এর শুরুতে তিনি বলছেন, দলের একাংশ ভোটের ছয় মাসে আগে আসেন। ভোটের পর কিছু দিন থাকেন, কিন্তু তারপর কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন টুকু মনে করেন না। তিনি বলেন, ভোটের সময় আন্ডারস্ট্যান্ডিং করতে চলে আসেন। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য তিনি আগে করেননি। কিন্তু সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন অনেকেই
দলের একাংশের নেতাদের প্রতি আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, নেতারা সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন, এখন তাঁরাই এখন গালিগালাচ করছেন। তিনি বলেন, সব সেটিং। সব হিসেব বুঝে নেবেন। আর চার থেকে পাঁচ মাস।
তারপর কোথায় থাকবেন, ঠিক করে নেবেন। তিনি বলেন, অনেকেই রাস্তার কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করছেন।

জুঁই বিশ্বাসের পরিচিতি
জুঁই বিশ্বাস কলকাতা পুরসভার ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা কো-অর্ডিনেটর। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীর অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের স্ত্রী। করোনা কালেও তিনি অতিমাত্রায় সক্রিয় ছিলেন। নিজের এলাকায় বয়স্ক মানুষদের বাড়ি বাড়ি দরকারি জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও নিয়েছিলেন তিনি। নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে বলেছিলেন, সাহায্যের জন্য আবেদন করতে।

রবিবারই সরব হয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
বেশ কিছুদিন চুপ থাকার পরে রবিবার এক অনুষ্ঠানে নিজের কেন্দ্র ডোমজুড়ে গিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বেশ কিছু তৃণমূল নেতা কর্মীদের নিজের কাজে ব্যবহার করছেন। কর্মীদের সঙ্গে নেতারা দুর্বব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, একেক সময় খুব খারাপ লাগে, যখন দেখা যায় নেতারা কর্মীদের সঙ্গে চাকরবাকরের মতো ব্যবহার করছেন। দলের নেতাদের একাংশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, মানুষকে সাময়িকভাবে বোকা বানানো যায়, কিন্তু কাউকে চিরকাল বোকা বানানো যায় না। আগামী দিনে কর্মীদের দ্বারাই নেতারা ক্ষমতাচ্যুত হবেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল, তৃণমূলে স্তাবকতা না করলে পদ মেলে না।

ফুল বদলের খেসারত, এবার সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস