ছাপ্পা ভোটে জিততে চান না তৃণমূল প্রার্থী! ‘ধন্যি মেয়ে’র ‘কালীপতি দত্ত’ হলেন তিনি
তৃণমূলের ছাপ্পার অভিনব প্রতিবাদ জানালেন প্রার্থী স্বয়ং। খোদ তৃণমূল প্রার্থী নাম তুলে নিলেন ভোট লড়াই থেকে। প্রার্থীর সাফ কথা, ছাপ্পা ভোটে জিতব না। তাই নাম তুলে নিলাম।
তৃণমূলের ছাপ্পার অভিনব প্রতিবাদ জানালেন প্রার্থী স্বয়ং। খোদ তৃণমূল প্রার্থী নাম তুলে নিলেন ভোট লড়াই থেকে। প্রার্থীর সাফ কথা, ছাপ্পা ভোটে জিতব না। তাই নাম তুলে নিলাম। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ারের এক নম্বর ব্লকের বিবেকানন্দ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২/১৪৪ নম্বর বুথের প্রার্থী অনিতা দেবনাথ দেহালেন এই 'সাহস'।
'ধন্যি মেয়ে'র 'কালীপতি দত্ত' (উত্তম কুমার)-কে নিশ্চয় মনে আছে। তাঁর 'সর্বমঙ্গলা স্পোর্টিং ক্লাব' কখনও পেনাল্টি গোলে জেতে না বলে চিৎকার করে 'বগা' (পার্থ মুখোপাধ্যায়)-কে 'আউটে কিক করতে' নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার 'কালীপতি দত্ত'-এর মতোই সাহসী দৃষ্টান্ত রাখলেন তৃণমূলের অনিতা দেবনাথ।
সোমবার আলিপুরদুয়ারের চেচাখাতার ওই বুথ থেকে তেমন অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু সন্ধ্যায়র পর একদল দুষ্কৃতী ওই বুথে ঢুকে ব্যালট বক্স ছিনতাই করে ছাপ্পা ভোট দিতে শুরু করে। ভোটকর্মীদেরও মারধর করা হয়। এই ঘটনা স্বচক্ষে দেখেন তৃণমূল প্রার্থী অনিতা দেবনাথ। স্থির থাকতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন। তাঁকে সমর্থন করেন নির্দল প্রার্থী শিখা দে-ও।
[আরও পড়ুন:পুননির্বাচনেও সন্ত্রাস! আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যালট বাক্স লুঠ]
এরপর প্রশাসন পুরো বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। তৃণমূল প্রার্থী অনিতা দেবনাথ ভোট লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।। বিডিওকে চিঠি লিখে তিনি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার কথা বলেন। সেই চিঠি ধরিয়ে দেন আইসি-র হাতেও। তিনি নিজেই পুনর্নিবাচনের আবেদন জানান এই বুথে। নির্দল প্রার্থী শিখা দে-ও অনিতদেবীর মতো ভোট লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান।
অনিতাদেবী বলেন, আমি এভাবে জিততে চাইনি। আমি চেয়েছিলাম মানুষ আমাকে জয়লাভ করাবে। কিন্তু তা যখন হল না, আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি জিততে চাইনা ছাপ্পা ভোটে। আমার বুথে যা হল তা আমি মেনে নিতে পারছি না। সেই কারণে আমি নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ামোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। নির্দল প্রার্থী শিখা দেও একই কথা বলেন। বাইরের গুন্ডারা এসে ভোট নিয়ন্ত্রণ করবে, তা মানতে পারছি না। এই ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। সামান্য ভোটের কারণে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হোক তা আমরা চাই না। তাই আমি সরে দাঁড়ালাম
[আরও পড়ুন: ধৃতদের মুক্তির দাবি! জ্যাংড়ার একাংশে ভোট বয়কটের ডাক]