বিজেপিকে ‘মাইলেজ’ দিলেও তৃণমূল 'ব্যাকফুটে'! পিকের প্ল্যান বুমেরাং হবে না তো একুশে
বিজেপিকে ‘মাইলেজ’ দিলেও তৃণমূল ব্যাকফুটে! পিকের পরিকল্পনা বুমেরাং হবে না তো
২০২১-এর নির্বাচনে যখন সবথেকে বড় প্রচার মাধ্যম হিসেবে উঠে আসছে সোশ্যাল মিডিয়া, তখন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর নিজে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যর্থতা। যে দল সোশ্যাল সাইটগুলিকে্ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে, সেই দল আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে এগিয়ে থাকবে অনেকটাই। তা না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে।
বিজেপিকে সোশ্যালে পাল্লা দিতে পারছে না তৃণমূল
২০১৪ সালের মোদীর ক্ষমতায় আসার পিছনে অন্যতম মূল চাবিকাঠি ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার। সোশ্যাল মিডিয়াকে এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল কংগ্রেস শত যোজন পিছিয়ে পড়েছিল। ২০২১-এও বিজে্পি বাংলায় সেইভাবেই এগোচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল বিজেপিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্লা দিতে পারছে না।
প্রশান্ত কিশোর যখন প্রচারের দায়িত্বে
এই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই বিজেপি সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন ২০১৪-তে। ২০১৯-এ বিজেপির কাছে ধাক্কা খেয়ে প্রশান্ত কিশোরকে প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলে প্রশান্ত কিশোরের শুরুটা খারাপ হয়নি। ‘দিদিকে বলো'র সাফল্য তারপর উপনির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে কামব্যাক হয় তৃণমূলের।
সোশ্যাল সাইট ছাড়া বিকল্প কোনও মাধ্যম নেই
এখন সমস্যা হচ্ছে তৃণমূলের অনেক নেতা-নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়াকে এমনভাবে ব্যবহার করেছেন, তা তৃণমূলের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সোশ্যাল সাইট ছাড়া বিকল্প কোনও মাধ্যম নেই যার দ্বারা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। কোনও জনসভা করা যাবে না করোনায় হানায়। তাই সোশ্যাল সাইটকে অপব্যবহার করলে পস্তাতে হবে!
বিজেপি পারলেও, তৃণমূল পারছে না!
প্রশান্ত কিশোরকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কৌশল গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের পর থেকে তিনি তৃণমূলের প্রচার পরিকল্পনার দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার পিছনে প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক টিমের ভূমিকা ছিল। তারপর থেকেই তিনি বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কয়েকটি দলের হয়ে কাজ করেছেন।
প্রশান্ত কিশোর অসন্তুষ্ট তৃণমূলের ব্যর্থতায়
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ এবং বিধায়করা সম্প্রতি ড্রোভে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। তাঁদের অনেকেরই প্ল্যাটফর্মে বা তাদের অ্যাকাউন্টে যে পোস্টগুলি দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধ্যানধারণা নেই। তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রীর পোস্ট নিয়ে কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম ভারতীয় পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি বা আই-প্যাক অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
বিব্রত প্রশান্ত কিশোরের নয়া ভাবনা
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু হতে না হতেই তৃণমূলের অনেক নেতা-নেত্রী বেঁফাস মন্তব্য করে বসছেন। ফলে তার খেসারত দিতে হচ্ছে দলকে, ধাক্কা খাচ্ছে প্রচার-পরিকল্পনা। প্রচার কৌশলের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত কিশোরও তা নিয়ে বিব্রত। এরকম চললে তাঁর পক্ষে ২০২১-এর যাবতীয় পরিকল্পনা মাঠে মারা যাবে। তাই অনেকের সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার নিষিদ্ধ করার ভাবনা প্রশান্ত কিশোরের।
তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের 'পারফর্মে’ অসন্তুষ্টি! কড়া অবস্থানের ভাবনা প্রশান্ত কিশোরের!