লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে, প্রচারে নেই সব্যসাচী! কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তৃণমূল
লোকসভা ভোট দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। প্রচারে উঠেছে ঝড়। কিন্তু সব্যসাচী দত্তের মতো তাবড় নেতা নেই দেলর প্রচারে। কিন্তু কেন? সম্প্রতি নজরে এসেছে তাঁর গেরুয়া-যোগ।
লোকসভা ভোট দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। প্রচারে উঠেছে ঝড়। কিন্তু সব্যসাচী দত্তের মতো তাবড় নেতা নেই দেলর প্রচারে। কিন্তু কেন? সম্প্রতি নজরে এসেছে তাঁর গেরুয়া-যোগ। তবে কি তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নির্বাচনের পর সব্যসাচীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে তৃণমূল।
জল্পনায় সব্যসাচী
সামনেই ভোট, তাই সব্যসাচীর বিরুদ্ধে এখনই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ভোট মিটলেই তৃণমূল হাইকমান্ডের কোপে পড়তে পারেন বিধাননগরের মেয়র। সব্যসাচীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে অনেক আগে থেকেই। তাঁর বাড়িতে মুকুল রায়ের লুচি-আলুর দম খেতে যাওয়ার পর থেকেই সেই জল্পনার আগুনে ঘি পড়েছিল।
প্রশ্নে সব্যসাচীর গতিবিধি
অবশ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশে দঁড়িয়ে সব্যসাচী দাবি করেছিলেন, যত জল্পনা সংবাদমাধ্যমে। তিনি আছেন ঘাসফুলেই। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যেমন কথা তেমন কাজ নয়, কারণ ওই ঘটনার সাতদিনের মধ্যেই ফের সব্যসাচীর গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়ে
অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা
ডিলিমিটেশনের পর বারাসত কেন্দ্রের অধীনেই পড়ে বিধাননগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। সম্প্রতি নির্বাচনী কর্মিসভায় বিধাননগরের সব কাউন্সিলররা গেলেও, যাননি রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক। এরপরই তার অনুপস্থিতি ঘিরেও ফের জল্পনা শুরু হয়। সেদিনই সল্টলেকের বিএফ পার্কে সল্টলেক সংস্কৃতি সংসদের হোলির অনুষ্ঠানে সব্যসাচীর মন্তব্য ঘিরে দলের অন্দরে প্রশ্ন ওঠে।
স্লোগান বিতর্কে সব্যসাচী
সেই অনুষ্ঠানে মেয়র বলেছিলেন, 'আমি মেয়র বা বিধায়ক থাকি বা না থাকি, 'মারো ঘরকো ছোড়ো হ্যায়', এটা হয়ে থাকতে চাই।' পাশাপাশি, সেদিন পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের কথাও উঠে আসে সব্যসাচীর বক্তব্যে। সব শেষে নিজের বক্তব্য শেষ করেন 'ভারত মাতা কী জয়' বলে। এর পর থেকেই দলের নেতাদের অনেকেই প্রকাশ্যে সরব হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সব্যসাচীর বিরুদ্ধে।
অর্জুনের যোগদানে জল্পনা
এরই মধ্যে ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর সব্যসাচীর দলবদলের সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনার পারদ চড়তে থাকে। সূত্রের খবর, সেই থেকেই সব্যসাচীর গতিবিধিকে সন্দেহজনক মনে করে শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে।
[আরও পড়ুন: ভোটে 'ভালো রেজাল্ট' হলেই পুরস্কার মোটরবাইক, তৃণমূল নেতার ঘোষণায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে ]
এবার কি কড়া ব্যবস্থা?
তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, এখনই শীর্ষ নেতৃত্ব সব্যসাচীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নেবে না। ভোট মিটলেই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। এবিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ কোনও নেতাই। কারণ ভোট বড়ো বালাই। বারাসত লোকসভায় সিংহভাগ অংশই সব্যসাচীর এলাকা। তাই নির্বাচনের আগে সব্যসাচীকে ঘাটাতে চায় না তৃণমূল।
[আরও পড়ুন:তৃণমূল প্রধানের হুঁশিয়ারি! ভোট না দিলে কোন কোন সুবিধা বন্ধ জানালেন সোজা সাপ্টা]