বিজেপি গোহারা তৃণমূলের কাছে! ডিজিটাল যুদ্ধে আশাপ্রদ সাফল্য, একনজরে পরিসংখ্যান
করোনার আবহে আর জনসভার হচ্ছে না, এখন রাজনীতির লড়াই পুরোপুরি মুঠোবন্দি। ডিজিটাল সেই লড়াইয়ে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে নেট দুনিয়া মজে আছে তা নিয়ে। যেমন বিজেপির ভার্চুয়াল সমাবেশের দিনই ডিজিটাল যুদ্ধ অন্য মাত্রা নিয়েছিল, সেই যুদ্ধে প্রথমে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেসই মাত দিল শেষপর্যন্ত।

শেষে জয়ী হল তৃণমূলই
নেট দুনিয়ায় বিজেপি বনাম তৃণমূলের হ্যাশটাগ যুদ্ধ চলেছে দিনভর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির বিজেপি সদর দফতর থেকে তাঁর দ্বিতীয় ভার্চুয়াল সমাবেশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের সঙ্গে। বিহারের পরে এই ভার্চুয়াল সমাবেশ হল পশ্চিমবঙ্গে। তা নিয়ে মঙ্গলবার নেটদুনিয়া উত্তাল ছিল। শেষে জয়ী হল তৃণমূল।

তৃণমূল প্রথম পরীক্ষায় সফল
তৃণমূল এখনও বিজেপির মতো ভার্চুয়াল সমাবেশের পথে হাঁটেনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই প্রচার শুরু করেছে। জোরদারভাবেই তা চলছে। ২০২১ সালের নির্বাচনের প্রচার পর্ব আসলে ডিজিটাল যুদ্ধ হতে চলেছে। তার জন্য তৃণমূল কতটা প্রস্তুত, তার একটি পরীক্ষা হয়ে গেল এদিন।

হ্যাশট্যাগ ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ'
এদিন হ্যাশট্যাগ যুদ্ধ শুরু হয়েছিল অমিত শাহের বক্তব্য শুরুর আগে থেকেই। ট্রেন্ডিংয়ে সকাল থেকেই বেশ এগিয়ে ছিল বিজেপির হ্যাশট্যাগ ‘বাংলার জন সমাবেশ'। তারপরই তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ বিজেপির ট্রেন্ডকে টপকে যায়। তৃণমূল এদিন পাল্টা হ্যাশট্যাগ করেছিল ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ'।

বিজেপিকে হটিয়ে টুইটার দখল
দেখা যায় বিজেপিকে হটিয়ে টুইটার দখল করছে তৃণমূলের ওই হ্যাশট্যাগ। শাহ কথা বলতে শুরু করার সাথে সাথে হ্যাশট্যাগগুলি কলকাতার টুইটার দখল করতে শুরু করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেখা যায় তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ ‘বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ' টুইটারে কলকাতার ট্রেন্ডিং তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। দীর্ঘক্ষণ ওই অবস্থায় স্থিতিশীল ছিল তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ।

ডিজিটালে প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল জয়ী
তৃণমূলের ধাক্কায় দ্বিতীয় স্থানে চলে যায় বিজেপির হ্যাশট্যাগ ‘বাংলার জন সমাবেশ'। বিজেপির আইটি সেল এই ট্রেন্ড দেখে হতচকিত হয়ে যায়। এত ঘটা করেও বিজেপি বাংলায় টক্কর দিতে পারল না তৃণমূলের সঙ্গে। তৃণমূল বিনা প্রস্তুতিতে চমকে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স দেখাল ডিজিটাল যুদ্ধে। প্রথম রাউন্ডে তৃণমূল হারিয়ে দিল বিজেপিকে।

ট্রেন্ডিংয়ে ডাবলেরও বেশি সংখ্যায় এগিয়ে
সংখ্যার বিচারে তৃণমূলের হ্যাশট্যাগটি থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে প্রায় ৮৫,০০০ বার টুইট করা হয়েছিল। তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল বিজেপি। বিজেপির হ্যাশট্যাগটি থেকে টুইট করা হয়েছিল ৩৫,০০০ বার সাড়ে ছটা পর্যন্ত। ট্রেন্ডিংয়ে ডাবলেরও বেশি সংখ্যায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

টুইট ট্রেন্ড তৃণমূলের পক্ষে আশাব্যাঞ্জক
টুইটারের একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪০টিরও বেশি যাচাই করা অ্যাকাউন্ট থেকে বিজেপির হ্যাশট্যাগে টুইট করা হয়েছে এবং রিটুইট করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র ১৪টি যাচাই করা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই ওই সংখ্যাই পৌঁছে গিয়েছে। এই ট্রেন্ড তৃণমূলের পক্ষে আশাব্যাঞ্জক।

মমতা শোচনীয় ব্যর্থ, মানুষকে বঞ্চনার খতিয়ান তুলে পরিবর্তনের ডাক দিলেন বাবুল