মুকুল-দিলীপদের ‘সংকল্পে’র পাল্টা সম্প্রীতির যাত্রা শুরু তৃণমূল কংগ্রেসের, মমতার নয়া উদ্যোগ
পুজো মিটতেই ফের জোরদার আন্দোলনে শুরু হয়েছে। রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। গান্ধী সংকল্প যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
পুজো মিটতেই ফের বাংলার মাটিতে জোরদার আন্দোলনে শুরু হয়েছে। রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। গান্ধী সংকল্প যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েথে ইতিমধ্যেই। তৃণমূল কংগ্রেসও তাই পাল্টা সম্প্রীতি যাত্রা শুরু করতে চলেছে। তৃণমূল ভবনে ব্লক ও টাউন সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেছে এই নয়া কর্মসূচির।
ছ-দিনের ‘সম্প্রীতি যাত্রা'
পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান,‘দিদিকে বলো'র দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্দিষ্ট কর্মসূচি ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেস ছ-দিনের ‘সম্প্রীতি যাত্রা' করবে। ১৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। বিজেয়ার শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পাশাপাশি সরকারের জনমুখী প্রকল্পের কথা প্রচার করা হবে এই কর্মসূচিতে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে এটা বিজেপির ‘সংকল্প যাত্রা'র পাল্টা।
‘দিদিকে বলো'র দ্বিতীয় পর্যায়ে
এদিনই ‘দিদিকে বলো'র দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিকল্পনা ঘোষিত হয়। প্রথম পর্যায়ে আশতীত সাফল্যের পর দ্বিতী পর্যায়ে এই অভিযানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন দলের সর্বভারতী যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ১০ দিনে ২০০০ গ্রামে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নামছে তৃণমূল।
এবার ‘দিদিকে বলো'য় ব্লক সভাপতিরা
এর আগে পর্থম পর্যায়ে বিধায়ক, সাংসদদের গ্রামে গ্রামে ঘুরে রাত কাটাতে দেখা গিয়েছিল। এবার ব্লক সভাপতিদের উদ্দেশ্যে সেই বার্তা দিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও ছিলেন অভিষেকের এই ঘোষণার সময়।
৬০০ নেতা ২০০০ গ্রামে
দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘দিদিকে বলো' রূপায়ণে মোট ৬০০ নেতাকে নামানো হচ্ছে। ২০০০ গ্রাম ও ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই লক্ষ্যামাত্রা পূরণ করবেন। ঘণ্টা তিনেকের জনসংযোগ কর্মসূচি সভা করবেন, বিশিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন, গ্রামের কোনও কর্মীর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া সারবেন ও রাত কাটাবেন।