হনুমান জয়ন্তীতে শুধুই 'ভক্তি'! তৃণমূল থাকলেও এই 'ভয়ে' পথে নেই সংঘ পরিবার
এবার হনুমান জয়ন্তী। উন্মাদনা না থাকলেও, শনিবার ভক্তিতে সংঘ পরিবারকে টক্কর দিতে চলেছে তৃণমূল। কেননা সংঘ পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, হনুমান জয়ন্তীতে কোনও মিছিল তারা করবে না।
এবার হনুমান জয়ন্তী। উন্মাদনা না থাকলেও, শনিবার ভক্তিতে সংঘ পরিবারকে টক্কর দিতে চলেছে তৃণমূল। কেননা সংঘ পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, হনুমান জয়ন্তীতে কোনও মিছিল তারা করবে না। তবে রামনবমী থেকে শিক্ষা নিয়ে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যেই থাকছে কড়া পুলিশি বন্দোবস্ত। কোনও অস্ত্র মিছিল বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা হনুমান জয়ন্তী পালনের কথা জানালেও বিজেপি এবং ভিএইচপির তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ ভাবেই পালন করা হবে হনুমান জয়ন্তী। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, দলের তরফে হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে না। তবে দলের নেতাকে যদি কেউ কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান, তবে সেই নেতা সেখানে যোগ দেবেন। দমদমের একটি অনুষ্ঠানে তিনি নিজেও যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন সায়ন্তন বসু। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে রামনবমীর মতো হনুমান জয়ন্তী অতটা জনপ্রিয় নয়।
তবে রামনবমীর পর হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কিছু সতর্ক বিজেপি। এই অনুষ্ঠান নিয়ে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির কর্মসূচি মানেই অশান্তি, এই তকমা ছেড়ে ফেলতে বদ্ধ পরিকর বিজেপি।
তবে তৃণমূলের তরফে ঘটা করে হনুমান জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা হাওড়ায় একটি মিছিলে অংশ নেন শনিবার সকালে। সকালে লেকটাউনে হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুজিত বসু। বড়বাজারের পোস্তা, রাজাকাটরা অঞ্চলে হনুমান জয়ন্তী পালন করবেন স্থানীয় বিধায়ক স্মিতা বক্সি। বিকেলে বিধাননগর স্টেশনের পাশেই হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে।