সমাজের বাধা টপকে দুর্গাপুজো বাঁকুড়ার সাঁওতাল পরিবারে
আদিবাসী সম্প্রদায় এর সাঁওতাল সমাজে কোনও করমের মূর্তি পুজোর রীতি নেই। তাদের আরাধ্য দেবতা মারাংবুরু। কিন্তু প্রথা আর রীতিনীতি ভেঙ্গে প্রায় ১২ বছর ধরে দুর্গাপুজো করছেন বাঁকুড়ার দোমোহনির সাঁওতাল রমণী
আদিবাসী সম্প্রদায় এর সাঁওতাল সমাজে কোনও করমের মূর্তি পুজোর রীতি নেই। তাদের আরাধ্য দেবতা মারাংবুরু। কিন্তু প্রথা আর রীতিনীতি ভেঙ্গে প্রায় ১২ বছর ধরে দুর্গাপুজো করছেন বাঁকুড়ার দোমোহনির সাঁওতাল রমণী। শুরুর দিকে সাঁওতালই মাটির প্রতিমা তৈরি করতেন। এবার তা তৈরি করেছেন অন্যরা।
বাঁকুড়ার দোমোহানি গ্রামের সাঁওতাল রমণী সরস্বতী হাঁসদা জানিয়েছেন, মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু করেছেন। কোনও পাঁজি-পুঁথি দেখে পুজো নয়। আচার মেনে নিষ্ঠা ভরে সাঁওতালি ভাষায় হয় পুজোর মন্ত্রোচ্চারণ। পুজোয় কোনও পুরোহিত নেই। পুজো করেন সরস্বতী হাঁসদা নিজেই। সম্পূর্ণ ব্রাহ্মণ বর্জিত এই পুজোর শুরুতে পরিবারটিকে রীতিমতো সাঁওতাল সমাজের হুমকি সহ্য করতে হয়েছে। আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পুজো গড়ায় আদালত পর্যন্ত। একঘরে করে দেওয়া হয় পরিবারটিকে। রীতিমতো অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। তবুও হাল ছাড়েননি সরস্বতী দেবী।
বর্তমানে স্বাভাবিক ছন্দেই হয় এই পুজো। আর আদিবাসী সমাজের সবাই মিলে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। সরস্বতী দেবী জানালেন, মা তো সকলের। মা স্বপ্নাদেশ দিলেই পুজো শুরু করি। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এই পুজো দেখতে এবং সরস্বতী দেবীর আশীর্বাদ নিতে।