বাঘের আতঙ্ক বাঁকুড়ায়, বসল ছয়টি ট্র্যাপ ক্যামেরা
বাঘের আতঙ্ক বাঁকুড়ায়, বসল ছয়টি ট্র্যাপ ক্যামেরা
শুধুমাত্র পায়ের ছাপ দেখেছেন এলাকার লোকজন। আর তাতেই বাঘের আতঙ্কে ভুগছেন তারা। বিনপুরের কাকোর লক্ষ্মণপুর ও বাঁকুড়া জেলার বারিকুল এলাকার খেজুরখন্না গ্রামে যে জন্তুর পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে তা বাঘের বলেই নিশ্চিত বন বিভাগের আধিকারিকরা। তাই এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এই সাথে বাঘ আসা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এই দুই এলাকায় ইতিমধ্যে ছ-টি ট্রাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সোমবার এই ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছে ও আরও পাঁচটি ট্রাপ ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন জায়গাতে, জঙ্গলের মধ্যে বাঘ ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হচ্ছে। সেখানে 'টোপ' হিসেবে রাখা হচ্ছে ছাগল।
বাঘের দেখা পাওয়া না গেলেও এলাকার কয়েক জনে দাবি করেছেন যে তারা এলাকায় বাঘ দেখতে পেয়েছেন। এই কথা জানার পর এলাকার লোকজনের মনে বাঘের আতঙ্ক চেপে বসেছে।
এই এলাকায় যে পায়ের ছাপ পাওয়া যায় তার নমুনা সংগ্রহ করেছে বন বিভাগ। এলাকায় ঘুরে গিয়েছেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। তারা মনে করছেন যে এই এলাকায় একটি পূর্ণ বয়স্ক বাঘের সাথে ঘুরছে বাঘের বাচ্চাও।
এলাকায় বাঘের আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ারপর বাড়িরবাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন এলাকার লোকজন। অনেকেই জঙ্গল থেকে কাঠ পাতা সংগ্রহ করে। জঙ্গলের মধ্যে এখন যেতে ভয় পাচ্ছেন তারাও। এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ মাহাতো, স্বরসতী মাহাতোরা জানিয়েছেন যে এই এলাকায় বন বিভাগের কর্মী ও পুলিশ এসে তাদের এখন সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বাঘ না দেখলেও বারিকুল এলাকার বাসিন্দা উমেশ পাল দাবি করেছেন যে মোটরসাইকেল করে বাড়িতে আসার সময়ে তিনি একটি বাঘকে রাস্তায় পার হতে দেখেছেন।
গত কয়েক দিন ধরে এই এলাকায় জন্তুর পায়ের ছাপ দেখেছেন এলাকার লোকজন। তারপর বন বিভাগের এই ধরনের উদ্যোগ দেখে তারা নিশ্চিত যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঘ।
বাঁকুড়া জেলার বন বিভাগের আধিকারিকদের মতোই ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের আধিকারিকর বাসব বাজ হেল্লাইচি জানিয়েছেন যে তারা এই এলাকায় মানুষদের এখন সতর্ক থাকতে বলেছেন ও বন বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
কলকাতায় অস্ত্র কারখানার হদিশ, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র