'আনস্টপেবল' ট্রামের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯ গাড়ি, দুই যুবকের সাহসিকতায় এড়ানো গেল বড়সড় দুর্ঘটনা
তবে এখানে ট্রেন নয় ট্রাম। চালকহীন একটি একটি ট্রাম বেপরোয়াভাবে ছুটে যাচ্ছে লাইন ধরে। ব্যস্ত রাস্তার সিগনাল ভেঙেই একের পর এক এক গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে নিজের রাস্তা বের করে ছুটেই চলেছে। দাঁড়ানোর নাম পর্যন্ত নিচ্ছে না।
প্রথমদিকে অনেকেই খেয়াল করেননি যে ট্রামটিতে কোনও চালক নেই। নজর যেতেই চমকে উঠলেন স্থানীয় দুই যুবক। চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ঘটনাটি দেখছিলেন তাঁরাও। কিন্তু চালক নেই লক্ষ্য করতেই আগুপিছু না ভেবেই ট্রামের চালকের কেবিনে ঝাঁপ মারলেন। ট্রামচালকের কেবিন পর্যন্ত পৌছলেন ঠিকই কিন্তু কীভাবে চলন্ত ট্রামটিকে বন্ধ করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অন্যদিকে তাঁর বন্ধু দুর্ঘটনা এড়াতে পথযাত্রীরে রাস্তা পারাপারে বাধা দিয়ে একধারে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
চরম গাফিলতির কারণে ট্রামের চালককে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে
প্রায় ৪০-৫০ সেকেন্ড এরকম চলার পর প্রথম বন্ধুটি আন্দাজেই একটি হাতলে হ্যাঁচকা টান মারেন। দেখতে দেখতেই ট্রামটি দাঁড়িয়ে য়ায়। তবে এই ঘটনায় হাল্কা চোট পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে দুই ব্যক্তির জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে তারা হলেন দীনেশ লাল ও জগ্গু কাপাডিয়া।
সকাল সাড়ে নটা নাগাদ গড়িয়াহাট ট্রাম ডিপো থেকে বেরিয়ে পড়ে ট্রামটি। কিন্তু হঠাৎ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল। পুলিশ জানিয়েছেন ট্রামটি ৫১৬ নম্বরের ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চালকের দাবি ট্রামটির 'রেজিস্ট্যান্স বক্সে' যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল। ব্রেক বন্ধ না করেই ট্রামের গোলযোগ দেখতে চালক নেমে পড়েন। এর ফলে আচমকাই ট্রামটি সোজা চলতে শুরু করে।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চালকের চরম গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। আর সেই কারণেই ট্রামের ওই চালককে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এই ঘটনায় প্রায় ৯টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনও ব্যক্তি আহত হননি। তবে ওই দুই যুবক না থাকলে যে কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেও জানিয়েছে পুলিশ।