দিকে দিকে অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বাতিল বহু ট্রেন
শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁকরাইল, নলপুর ও চেঙ্গাইল স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করার কারণে ১৯ টি এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করল রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া খড়গপুর শাখার অন্তত ৫০ টি লোকাল ইএমইউ ট্রেন বাত
শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁকরাইল, নলপুর ও চেঙ্গাইল স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করার কারণে ১৯ টি এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করল রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া খড়গপুর শাখার অন্তত ৫০ টি লোকাল ইএমইউ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ঘুরপথে চালানো হচ্ছে কিছু ট্রেনকে।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে বিভিন্ন স্টেশনে ও জায়গাতে পথ ও রেল লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়েছে । শুক্রবার ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় উলুবেড়িয়া স্টেশনে। তার জেরে হাওড়া খড়গপুর সেকশনে অনেক গুলি ট্রেন বাতিল করা হয়। শুক্রবারের মত শনিবারেও বিভিন্ন স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়।
দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, সাঁকরাইল, নলপুর ও চেঙ্গাইল স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে । যারা এদিন বিক্ষোভ দেখায় তারা টিকিট কাউন্টারে, স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে ভাঙচুর করে। ভাঙচুর করা হয় প্যানেল বোর্ড, প্লাটফর্মে লাইট ও বসার জায়গা। এছাড়া মৌরি গ্রাম বাঁকড়া শাখাতেও অবরোধ করা হয়। যার জেরে বাতিল করা হয় অনেকগুলি ট্রেন। কিছু ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে।
দক্ষিণ
পূর্ব
রেলের
পক্ষে
জানানো
হয়েছে
যে
এদিন
যে
সব
এক্সপ্রেস
ও
প্যাসেঞ্জার
ট্রেন
বাতিল
করা
হয়েছে
তার
মধ্যে
আছে
হাওড়া
সম্বলপুর
এক্সপ্রেস,
হাওড়া
পুনে
দুরন্ত
এক্সপ্রেস,
হাওড়া
পুরুলিয়া
এক্সপ্রেস,
হাওড়া
আদ্রা
শিরোমনি
প্যাসেঞ্জার,
সাঁতরাগাছি
পুনে
হামসফর
এক্সপ্রেস,
গীতাঞ্জলি
এক্সপ্রেস,
করমন্ডল
এক্সপ্রেস,
হাওড়া
যশবন্তপুর
দুরন্ত
এক্সপ্রেস,
দিঘা
হাওড়া
এসি
এক্সপ্রেস,
তাম্রলিপ্ত
এক্সপ্রেস
ট্রেন।
তিরুবন্তপুরম
শালিমার
এক্সপ্রেস,
আমেদাবাদ
হাওড়া
এক্সপ্রেস,
কুরলা
এক্সপ্রেস,
শ্রী
শ্রী
প্রশান্তি
নিলয়ম
এক্সপ্রেস
সহ
কিছু
ট্রেন
ঘুর
পথে
আসানসোল
হয়ে
চালানো
হচ্ছে
বলে
জানিয়েছেন
রেলের
আধিকারিকরা।
এই দিন বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে । ভজুডি শালিমার আরণ্যক এক্সপ্রেস আদ্রা স্টেশনে ও আদ্রা শালিমার রাজ্যরানী এক্সপ্রেস শালবনী স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের কারণে দক্ষিণ পূর্ব রেলের ট্রেনের চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। তার ওপর সাঁতরাগাছি সহ বিভিন্ন এলাকার জাতীয় সড়কের ওপর অবরোধ করা হয়। তার জেরে হাওড়া বা কলকাতায় যেতে পারছেন না লোকজন। একই অবস্থা যারা হাওড়া থেকে খড়গপুর দিকে আসবেন তাদেরও।
দক্ষিণ
ভারতের
দিক
থেকে
যারা
আসছিলেন
তাদের
আটকে
পড়তে
হয়
খড়গপুর
স্টেশনে।"
বিভিন্ন
এলাকায়
বিক্ষোভ
দেখানোর
কারনে
ট্রেনের
চলাচল
বন্ধ
হয়ে
যাওয়ার
কারণে
কয়েক
হাজার
মানুষ
খড়গপুরে
আটকে
পড়েন।
আমরা
তাদের
জন্য
খাবার
ও
পানীয়
জলের
ব্যবস্থা
করেছি।
রেল
কর্তৃপক্ষ
সাথে
কথা
বলে
অন্য
রুট
দিয়ে
ট্রেন
চালিয়ে
এই
সব
যাত্রীদের
তাদের
গন্তব্যে
পৌঁছে
দেওয়ার
কথা
বলা
হয়েছে,"বলে
জানিয়েছেন
খড়গপুরের
বিধায়ক,
তৃণমূল
কংগ্রেসের,
প্রদীপ
সরকার।
এইদিকে
যারা
আটকে
পড়েন
তারা
বিপাকে
পড়েছেন
ও
রেলের
ভূমিকা
নিয়ে
প্রশ্ন
তুলেছেন।
ভুবনেশ্বর থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনে আসছিলেন নদিয়া জেলার বাসিন্দা রাজু দত্ত ও ব্যান্ডেল এলাকার বাসিন্দা প্রত্যয় বসু। তারা বলছেন, বাড়িতে ফেরা নিয়ে খুব চিন্তিত আছি। কিভাবে বাড়িতে যাব বুঝতে পারছি না। সড়ক পথেও তো বিক্ষোভ চলছে।
আবার কোন কোনও যাত্রী প্রশ্ন তুলেছেন যে কী ভাবে রেল মাঝপথে প্রিমিয়াম ট্রেনকে বাতিল করে? তাদের বক্তব্য কোথাও কোনও সমস্যা হলে অন্য পথে প্রিমিয়াম ট্রেনকে তার গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব রেলের। তা না করে তারা মাঝপথে প্রিমিয়াম ট্রেনকে বাতিল বলে ঘোষণা করছেন।